এসিডের আদ্যোপান্ত

ত্বকচর্চ্চার রুটিনের সাথে ‘অ্যাসিড’ শব্দটি শুনতে অদ্ভুত লাগে না? অথচ জানেন অ্যাসিড আপনার ত্বকের জন্য খুবই ভাল হতে পারে!

অন্যদিকে অসংখ্য অ্যাসিডিক পণ্য, ওয়েবসাইট, সেলিব্রিটিদের কথাবার্তা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে খোদ ব্র্যান্ড থেকে আসা অনেক ভুল তথ্য আপনাকে ভুল পথে নিতে পারে। তাহলে কি করা যায়?

সবচাইতে ভাল অ্যাসিড বেছে নেওয়ার উপায় হল আপনি যে ধরনের ত্বকের সমস্যার সমাধান করতে চান, সেটার উপর জোর দেয়া। আরো ভালভাবে বুঝতে হলে বিভিন্ন ধরণের অ্যাসিড সম্পর্কে কিছুটা ধারণা থাকা জরুরী।

বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড – বিএইচএ (বিএইচএ আছে মাত্র একটি,  স্যালিসিলিক অ্যাসিড): আপনার যদি ছুলি বা ব্রণ থাকে, তাহলে এটা হল সবচে’ ভাল।

আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড – এএইচএ: আপনার ত্বকে যদি বলি রেখা দেখা যায়, তাহলে আপনি এটা বেছে নিতে পারেন।

পলিহাইড্রক্সি অ্যাসিড – পিএইচএ: আপনার ত্বক কি সেনসিটিভ? আর ব্যবহার করতে গিয়ে ত্বক জ্বলবেনা এমন কিছু যদি চান তাহলে এটা আপনার জন্য পার্ফেক্ট।

যাদের মুখে দাগ এবং ছুলি রয়েছে তাদের জন্য স্যালিসিলিক অ্যাসিড খুবই ভাল। এটি ওটিসি প্রোডাক্টে ২%  মাত্রায় পাওয়া যায়। ব্রণ, ব্রণের দাগ, মেলাসমা, সূর্যের আলোর কারণে ক্ষতি এবং বয়সের কারণের দাগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যায়।

যারা বার্ধক্যের লক্ষণ নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য গ্লাইকোলিক অ্যাসিড (এএইচএ) ভাল হবে। ব্রণ, কালো দাগ, এমনকি ত্বকের টোন এবং টেক্সচার প্রতিরোধে সহায়তা করে। গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সূর্যের আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায়, তাই সূর্যের আলোতে ক্ষতি রোধ করতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ব্যবহার করার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন অবশ্যই।

যদি আপনার সমস্যা অনুজ্জ্বল, ডিহাইড্রেটেড বা শুষ্ক ত্বক হয়, তবে আপনার লাগবে ল্যাকটিক অ্যাসিড (এএইচএ)। এটা ত্বকের জন্য কোমল অথচ ভীষণ সংবেদনশীলভাবে ত্বককে এক্সফোলিয়েট করার কাজ করে।

ম্যান্ডেলিক অ্যাসিড (এএইচএ) গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের মতই এবং ব্রণ, এমনকি পিগমেন্টেশন প্রতিরোধ করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটা তৈলাক্ত ত্বকের জন্যও ভাল একটা জিনিস। এটি গ্লাইকোলিক অ্যাসিডের মতো ত্বকের গভীরে ঢোকেনা, ফলে জ্বলুনি কম হয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক শুকিয়ে না দিয়েই তৈলাক্ততা কমাতে পারে।

আপনার যদি সেনসিটিভ ত্বক থাকে তাহলে আপনি পিএইচএ ব্যবহার করতে পারেন। এটি মূলত একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি রেডিকেলগুলোকে আক্রমণ করে, ত্বককে সূর্যের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে । সময়ের সাথে সাথে, পিএইচএ লালচেভাব কমায় এবং স্কিনের নমনীয়তা ধরে রাখতেও সাহায্য করে।

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

হাইপারপিগমেন্টেশন- ত্বকের কালো দাগ

ত্বকের খুব সাধারণ সমস্যা হচ্ছে হাইপারপিগমেন্টেশন। কিন্তু এটা কী? আর কিভাবে আপনি এর চিকিৎসা করবেন? জানতে হলে পড়ুন।

হাইপারপিগমেন্টেশন বলতে বোঝায় ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ যা স্বাভাবিক রঙ এর চেয়ে কিছুটা গাঢ় হয়। এমনটা হয় যখন বেশী মেলানিন (আপনার ত্বকের রং হয় যে পিগমেন্টে) সৃষ্টি হয়। নানান রকমের হাইপারপিগমেন্টেশন রয়েছে আর এর কারণ বয়সভেদে, সূর্যে তাপে, হরমোনের পরিবর্তনে আর ত্বকের আঘাতের কারণে ভিন্ন ভিন্ন হয়।

এসপিএফ- মূল রক্ষাকর্তা

আপনার হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্য দায়ী যা-ই হোক না কেন, এসপিএফকে বাদ দেয়া যাবে না। এটা হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধ এবং আরও খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা করবে। আপনাকে রোজ কমপক্ষে এসপিএফ৫০ ব্যবহার করতে হবে এবং দুই ঘন্টা পরপর  মেখে নিতে হবে। বিশেষ করে অনেক ক্ষণ সূর্যের নীচে থাকলে। আর আপনার যদি মনে হয় যে আপনার মেসতা আছে, তাহলে সানস্ক্রিনের পাশাপাশি একটা বড় টুপি কিংবা ছাতা রিকমেন্ডেড।

 ত্বকের সমস্যার সমাধানে

সানবার্ন অথবা কেমিক্যাল বার্ন থেকে হাইপারপিগমেন্টেশন হতে পারে। তা যেন না হয় সেজন্য আপনাকে ত্বকের যত্ন নিতে হবে, বিশেষ করে আপনার যদি পিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকে। আপনার ত্বক যেন শুষ্ক না হয় সেটা খেয়াল রাখুন, খসখসে, শুষ্ক করে দেয় এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। তবে লক্ষ্য রাখবেন যেন বেশী বেশী হাই স্ট্রেংথ এক্টিভস আর এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার না করা হয়।

দৈনিক ব্যবহার করার মত প্রোডাক্টের পিছনে খরচ করা

আপনার রুটিনে এমন একটা সিরাম রাখুন যাতে টাইরোসিনাজ ইনহিবিটর্স আছে। টাইরোসিনাজ একটি এনজাইম, যা মেলানিন তৈরিতে প্রয়োজন হয়। আর এই উপাদানগুলো  হাইপারপিগমেন্টেশন সৃষ্টি হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। লেবেলের ফর্মুলায় এই উপাদানগুলো আছে কিনা দেখুনঃ যষ্টিমধু এক্সট্রাক্ট, কোজিক এসিড, ট্রানএক্সামিক এসিড, আলফা আরবুটিন, আজেলিক এসিড, নিয়াসিনামাইড ও হাইড্রোকুইনোন।

আপনার যদি পোস্ট-ইনফ্লেমেটরি হাইপারপিগমেন্টেশন হয় (পিগমেন্টেশন  থেকে যায় ত্বকের একনি বা কোন ক্ষতির কারণে), তাহলে সেই জায়গাগুলো খোঁটা বা চাপা ঠিক হবেনা। এর ফলে সেরে ওঠা  ব্যহত করে সমস্যা জটিল করে তুলবে, ত্বকের রং নষ্ট করে।

আপনার রুটিনে গ্লাইকোলিক এসিডের মত এক্সফোলিয়েটিং এক্টিভস রাখলে ত্বকের উপর থেকে পিগমেন্টেশন দ্রুত মিলিয়ে যাবে। রেটিনল সেরাম যদি রাখেন রুটিনে, তাহলে ত্বকের সেল এর টার্নওভার বাড়বে।

ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া

হাইপারপিগমেন্টেশনের চিকিৎসায় ফল দেয় রাসায়নিক পিল, মাইক্রো-নিডলিং, আইপিএল আর লেজার। আপনি কোনটি বাছবেন তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের টোন কেমন আর পিগমেন্টেশন কত গভীর। তাই সবচাইতে ভাল হয় যদি আপনি কোন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন।

আশা-নিরাশা

হাইপারপিগমেন্টেশনের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ এবং এর ধারাবাহিকতা থাকতে হয়। যেকোন প্রসাধনী কিংবা ওষুধ কাজ করতে ৩মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে, তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত রুটিন ফলো করা অত্যন্ত জরুরী।

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

Cowash এর ABCD

কো ওয়াশ আমাদের দেশে এখনো পপুলার কনসেপ্ট না। Conditioner wash= Co wash. কো-ওয়াশ মানে হচ্ছে শ্যাম্পুর পরিবর্তে কন্ডিশনার দিয়ে চুল ওয়াশ করা। বেশ কিছু মিথ প্রচলিত আছে আমাদের- যেমন কন্ডিশনার স্কাল্পে লাগানো যাবেনা। জিনিসটা একই সাথে ভুল এবং ঠিক। কিছু কন্ডিশনার স্কাল্পে দেয়া যাবে, কিছু না দেয়া ভাল।

কোনগুলা scalp এ দেয়া যাবে?
– যেগুলাতে water insoluble সিলিকন নাই। এর মানে কি? মানে হচ্ছে এমন সিলিকন যাতে না থাকে যেটা নর্মাল পানি দিয়া ধুলে চলে যাবেনা। এটা যারা CGM follow করতে চান তাঁদের জন্য।

যদিও কো ওয়াশ CGM follower দের মাঝেই পপুলার, যারা CGM follow করছেন না তাঁরাও কো ওয়াশ করতে পারেন।

লাভ কি কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে?
– সাধারণ শ্যাম্পুর ক্লিনজিং এজেন্ট বেশ হার্শ। প্রতিদিনের ওয়াশের জন্য মাইল্ড ফর্মুলা ব্যবহার করা ভাল। এতে চুলের এবং scalp এর ন্যাচারাল অয়েল ব্যালেন্স বজায় থাকে।  কন্ডিশনার গুলোতে mild cleansing agents থাকে এবং একই সাথে moisturizing ingredients থাকে যা চুলকে soft & supple রাখতে সাহায্য করে।

সিলিকন ওয়ালা কন্ডিশনার দিয়ে কো ওয়াশ করলে হবে?

এই প্রসেসটা আসলে কোন বেদবাক্য নয়। সিলিকন ওয়ালা গুলা দিয়ে কো ওয়াশ করলে মানা নাই, not recommended though. সিলিকন চুলে বিল্ডাপ তৈরী করে। এই বিল্ডাপ ক্লিন করতে আপনাকে এমন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে যেগুলোতে সালফেট আছে। বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেই থাকে। Silicones can’t be washed off without sufates.

সিলিকন আছে কিনা কীভাবে বুঝব?
– বোতলের পিছনের লেবেলে দেয়া ইনগ্রেডিয়েন্ট লিস্ট দেখে। সিলিকন গুলার নাম সাধারণন ‘-cone’ ‘-conol’ দিয়ে শেষ হয়। যেমন dimethicone, dimethiconol.

কন্ডিশনার দিয়ে আবার চুল ক্লিন হবে কীভাবে?
– হবে। কারণ কো ওয়াশ কন্ডিশনারে ক্লিনজিং এজেন্টও থাকে

কাদের জন্য স্যুটেবল?
– ড্রাই চুল কিন্তু আবার প্রতিদিন শ্যাম্পু না করলে ভাল লাগেনা। আবার শ্যাম্পু করলেও চুল আরো বেশি ড্রাই লাগে। যাঁদের স্কাল্প দ্রুত ড্রাই হয়ে যায়। যারা curly girl method ফলো করতে চান, তাঁদের জন্য এক্সেলেন্ট অপশন।

অয়েলি চুলে কো ওয়াশ করা যাবে?
– যাবে। কারো জন্যই মানা নাই। করে দেখেন, ভাল লাগলে কন্টিনিউ করবেন!

বাচ্চাদের চুলে করা যাবে?

– যে কোন বয়সের ছেলে, মেয়ে সবার চুলেই করা যাবে।

কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুব কেম্নে?
– নর্মাল shampoo দিয়ে যেভাবে চুল ওয়াশ করেন, ওভাবেই।

তেল যাবে?
– সাধারণত, না। তেল ওয়াশ অফ করার জন্য শ্যাম্পুই লাগবে। যেদিন তেল দিবেন সেদিন চুল ওয়াশ করার জন্য কো ওয়াশ স্যুটেবল না।

সপ্তাহে কতদিন কো ওয়াশ করতে হবে?

– CGM follower দের জন্য Ideally সপ্তাহে ২ দিনের বেশি না। কিন্তু শুরুর দিকে অনেকেরই এত অল্প চুল ধোয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে একটু সময় লাগে। সেক্ষেত্রে নিজের পছন্দমত রুটিন সেট করে নিতে হবে। সপ্তাহে ৩/৪ দিনও যদি কো ওয়াশ করেন, এটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।

যাঁরা CGM follow করছেন না কিন্তু এমনি কো ওয়াশ করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে কোন দিনের বাধ্য বাধকতা নেই। প্রয়োজন এবং সুবিধা অনুযায়ী প্রতিদিনও করতে পারেন।

কো ওয়াশ করার পরে কি আবার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে?

– নির্ভর করে আপনার চুলের ধরণটা কেমন। যদি নর্মাল থেকে অল্প অয়েলির দিকে হয় তাহলে অনেকের কো ওয়াশ করাই যথেষ্ট হয়। কিন্তু কো ওয়াশ করার পরেও যদি চুল যথেষ্ট সফট হয়েছে মনে না হয় তাহলে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কোঁকড়া চুল সাধারনত বেশি শুষ্কই হয় এবং সেক্ষেত্রে কো ওয়াশের পরেও একটি ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার সবসময়ই ব্যবহার করা ভাল।

আমাকে কিছু প্রোডাক্টের নাম সাজেস্ট করতে পারেন যেগুলো দিয়ে কো ওয়াশ করা যাবে?

অবশ্যই! চেক করবেন এই লিংকে

লিখেছেন-

Dr. Sanjida Alam

MBBS, MPH (NIPSOM), PGT (Surgery)

Managing partner, Co-founder, Asteria

আমি CGM শুরু করতে চাই। কি কি লাগবে?

প্রতিদিন পাওয়া প্রশ্নগুলোর মাঝে কমন এটা- “আমি সিজিএম শুরু করতে চাচ্ছি। কি কি লাগবে?”

চেষ্টা করছি একটা লিস্ট করে দিতে, আপনাদের মতামত অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

Haircare products (must needed)

  1. একটা ফাইনাল ওয়াশ শ্যাম্পু:এমন একটা শ্যাম্পু যাতে ইনগ্রেডিয়েন্টের মাঝে সালফেট থাকবে কিন্তু কোন সিলিকন, মিনারেল অয়েল, ওয়াক্স ইত্যাদি কার্লি চুলের জন্য harsh ingredients থাকবে না। সিজিএম শুরু করার আগে শুধুমাত্র ১ বার এই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে যাতে আগে চুলে যে প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করা হত তার কারণে তৈরী আবরণ (কোটিং) ক্লিন হয়ে যায়।
  2. একটা clarifying shampoo: এই শ্যাম্পুগুলো সাধারণত মাসে ১ বার ব্যবহার করা হয় চুলে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রোডাক্টের/ ধুলোবালির যে আবরণ তৈরী হয় তা পরিষ্কার করতে।
  3. একটা low poo shampoo: এই শ্যাম্পুগুলো খুবই mild cleansing ingredients দিয়ে তৈরী। সপ্তাহে ১/২ দিন চুল ওয়াশ করার জন্য ব্যবহার হয়।
  4. একটা regular conditioner: চুলে যথেষ্ট পরিমাণ nourishment/ moisture দেয়ার জন্য। কার্লি চুল সাধারণত বেশ ড্রাই হয় এজন্য ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার খুব জরুরী। প্রতিবার চুল ধোয়ার সময় অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
  5. একটা hair mask/ deep conditioning treatment: কন্ডিশনার ব্যবহার করার পাশাপাশি মাসে অন্তত ১ বা ২ বার extra nourishment এর জন্য হেয়ার মাস্ক বা ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করাও জরুরী।

চুল শুকানোর জন্যঃ 

সাধারণ towel দিয়ে চুল বেঁধে রাখলে তা কার্লি চুলকে অনেক বেশি frizzy করে ফেলে। এর বদলে লিস্ট থেকে যে কোন উপায় বেছে নিতে হবে-

  1. নরম কটন টিশার্ট/ গামছাঃ চুল ওয়াশের পরে বাঁধার জন্য
  2. Microfibre towel: কটন টিশার্ট/ গামছার পরিবর্তে
  3. Hair dryer
  4. Diffuser: হেয়ার ড্রায়ার আমরা প্রায় সবাই চিনি। ডিফিউজার টা কারো কারো কাছে নতুন হতে পারে। এটা একটা additional part যেটা হেয়ার ড্রায়ারের মাথায় এটাচ করে ব্যবহার করতে হয়। হেয়ার ড্রায়ার থেকে সরাসরি যে হিট/ বাতাসটা বের হয় এটা কার্লি চুলের সবদিকে সমানভাবে লাগে না। কিছু কিছু দিকে বেশি লাগে যে কারণে সুন্দর করে কার্ল ফর্ম হয় না। আবার কিছু কিছু জায়গায় কম লাগে যে কারণে সুন্দর করে চুলটা শুকায় না। ডিফিউজার ব্যবহার করলে এই বাতাসটা সবদিকে লেগে এই সমস্যাটা দূর হয়।

কিছু পয়েন্ট অবশ্যই নোট করতে হবে-

  • এখানে যে প্রোডাক্ট গুলোর লিস্ট দেয়া হয়েছে তার সবই CGM approved ingredient এর তৈরী হতে হবে। এস্টেরিয়ার CGM সেকশনে কোন প্রোডাক্টগুলো স্টকে আছে তা দেখে নিতে পারেন এই লিংকে।
  • কার চুলের জন্য এক্সাক্টলি কোন প্রোডাক্ট টা সবচে স্যুটেবল হবে এটা দ্বিতীয় কেউ বলে দিতে পারবে না। ব্যবহার করে নিজেকেই এটা খুঁজে বের করতে হবে। ধরুন আপনি একটা কন্ডিশনার ব্যবহার করলেন। কিন্তু করে মনে হল এটা তো তেমন সফট করল না চুল। তাহলে নেক্সট টাইম আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে এর চেয়েও বেশি ময়েশ্চারাইজিং/ হেভি একটা কন্ডিশনার।
  • প্রোডাক্টগুলো কোনটা কতদিন পর পর ব্যবহার করতে হবে তার একটা general rule থাকলেও এটা সম্পূর্ণ যার যার পছন্দের উপর ডিপেন্ড করে মডিফাই করে নিতে পারেন। সিজিএম শুরু করার আগে আমরা সাধারণত যেসব শ্যাম্পু ব্যবহার করি তাতে সালফেট থাকে যা একটা squeaky clean feel দেয়। যেসব কন্ডিশনার ব্যবহার করি তাতে সিলিকন থাকে যা একটা slippery, soft finish দেয়। আমরা এই ফিলিংস গুলোতেই অভ্যস্ত। একারণে যখনই আমরা এগুলো বদলে ভিন্ন ধরণের ইনগ্রেডিয়েন্টের প্রোডাক্ট ব্যবহার শুরু করি তখন মনে হয় চুলটা ঠিকভাবে পরিষ্কার হয়নি বা পছন্দমত সফট হচ্ছে না। কিন্তু এই মনে হওয়াটা সাময়িক। আপনার চুলেরও এই ভিন্নধর্মী প্রোডাক্টগুলোর সাথে used to হতে সময় লাগে। এই সময়টাকে বলে transition phase. যখন আপনি এই সময়টা পার করে যাবেন তখন এই চুল পরিষ্কার হয়নি/ সফট হয়নি এগুলো আর মনে হবেনা। অবশ্যই transition phase এ ধৈর্য্য ধরতে হবে। কতদিন থাকবে এই transition phase? বলা যায় না। অনেকের ১/২ মাস সময় লাগে, কারো জন্য ১/২ বছর!
  • প্রোডাক্ট কতদিন পরপর ব্যবহার করবেন তা অনেকখানি লাইফস্টাইলের উপরও ডিপেন্ড করে। নিজের কথা যদি বলি, শুরুর দিকে যখন আমাকে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হত তখন মাসে ১ বার ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু ব্যবহারের কথা থাকলেও ধুলোবালি/ পলিউশনের কারণে চুল এতই ভারী মনে হত যে অন্তত সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার না করলে চলত না। লো পু শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল একেবারেই পরিষ্কার হয়েছে মনে হত না। এখন যখন I am working mostly from home এবং বাইরের ধুলোবালি চুলে লাগছে না তখন মাসে ১ বার ক্ল্যারিফাই করা যথেষ্ট হচ্ছে। তবে শুরুতে একটু frequent থাকলেও convenience অনুযায়ী আস্তে আস্তে তা কমিয়ে  আনতে হবে।

শুরু করার জন্য এই পর্যন্ত যথেষ্ট। খুব আগ্রহী এবং উদ্যমীরা পরবর্তী অংশ পড়তে পারেন। কিন্তু আমার মত অলস যাঁরা তাঁদের শুরুতেই পরবর্তী অংশ না পড়ে, এই প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার শুরু করার পরে, used to হয়ে, পরের অংশ পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি!

Haircare products (optional)

  1. Co wash conditioner: চুল ওয়াশ করার জন্য শ্যাম্পুর পরিবর্তে কন্ডিশনার ব্যবহার করা সম্ভব। তবে সব কন্ডিশনারই কো ওয়াশের জন্য উপযুক্ত না। এগুলোতে অবশ্যই cleansing ingredient থাকতে হবে
  2. Leave in conditioner: অন্যান্য কন্ডিশনার ৩-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। কিন্তু লিভ ইন কন্ডিশনার চুল শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলার পরে damp চুলে দিতে হয় এবং এটা ধুয়ে ফেলতে হয় না। এটা চুল সফট ও slippery রাখার জন্য।

Hair styling products (optional)

হেয়ার স্টাইলিং ব্যাপারটাই অপশনাল। প্রতিদিন স্টাইল করতেই হবে এটা বাধ্যতামূলক কিছু না, যার যার প্রেফারেন্স। অনেকেই প্রতিদিন চুল স্ট্রেইট/ ব্লো ড্রাই না করে বের হন না- অনেকটা তেমনই। চুল সেট করলে অবশ্যই তা অনেকগুণে বেশি সুন্দর লাগে কিন্তু ইচ্ছা, সময় ও সুযোগ বুঝে।  আমি শুরুতেই স্টাইলিং প্রোডাক্ট/ প্রসেসের উপর নজর না দেয়ার পক্ষপাতী কারণ যিনি আগে এগুলো কোনটাই করেন নি তাঁর কাছে মনে হতে পারে ‘ওরে বাবারে, এত কাজ! আমাকে দিয়ে হবে না’। আসলে মোটেও অনেক কাজ বা অনেক সময় লাগার কিছু নেই। কিন্ত যখন আপনি শুরুতেই সব একবারে শিখে ফেলতে যাবেন তখন খুবই ঝামেলার কাজ মনে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আমি ডিম ভাজি করতে পারি না কিন্তু শুরুতেই বিরিয়ানী রান্না শিখতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে গেলাম। তাই আমি বলি ডিম ভাজিটা আগে শিখি, সহজ কাজগুলো বুঝে গেলে পরে বিরিয়ানী!

এবার আসি হেয়ার স্টাইলের জন্য কি আইটেম সিলেক্ট করতে পারি। এই লিস্ট থেকে যেকোনটা আপনি বেছে নিতে পারেন। এর সবগুলোই ব্যবহার করবেন, নাকি যেকোন একটা ব্যবহার করবেন এটা আপনার সুবিধা অনুযায়ী।

  1. Hair gel: কার্লের definition/ shape ধরে রাখার জন্য
  2. Hair mousse: একই কাজের জন্য
  3. Hair spray: একই কাজের জন্য
  4. Hair custard: একই কাজের জন্য
  5. Curl activator: অনেক সময় ওয়াশ করার পরে চুল যেমন ভাবে কার্ল হয়ে শুকানর কথা তেমনটা না হয়ে একটু shapeless হয়ে যায়। কার্ল এক্টিভেটর ব্যবহারে এই সমস্যাটা দূর হয়।

লিখেছেন-

Dr. Sanjida Alam

MBBS, MPH (NIPSOM), PGT (Surgery)

Managing partner, Co-founder, Asteria

চুল খুব রুক্ষ ও শুষ্ক, সাথে চুল পড়ছে! কি করব?

অনেকেরই প্রতিদিনের প্রশ্ন- ড্রাই, রাফ চুল বা কার্লি চুল, একই সাথে চুল পড়াও কোন ভাবে কমছে না! কি করতে পারি? আজকের ব্লগে কিছু টিপস শেয়ার করার চেষ্টা করব।

সবার প্রথম কথা ডায়েট আর লাইফস্টাইল। এই দুটি ঠিক না হলে যতই কেয়ার নিন না কেন চুল ভাল হবেনা। সবজি এবং প্রোটিন নিয়ম করে খেতে হবে। সারাদিন বাইরে যদি থাকা হয় এবং বাইরের fad food খেতে হয় শুধুমাত্র তখন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। আমাদের দেশের স্বাভাবিক ডায়েটে এক্সট্রা সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হয়না।

দ্বিতীয় কথা, যাঁদের প্রতিদিন বের হতে হয় চেষ্টা করবেন যতক্ষণ রাস্তায় আছেন চুল ঢেকে চলতে। ধুলাবালি, ঘামে ভিজে থাকা চুলে খুব সহজে জট লেগে যায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।

এবার আসি product wise হেয়ার কেয়ার রুটিনের কথা। চুলে তেল দিয়ে overnight রেখে বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব। রাফ চুল, সাথে হেয়ার ফল থাকলে এই অয়েল রুটিনটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। Asteria এর নিজস্ব production এর ২ টা প্রোডাক্ট ইউজ করতে হবে এজন্য। একটা castor oil (for preventing hair fall) এবং regrowth and nourishment oil (চুল soft করা এবং nourishment এর জন্য)। ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল+৩ চা চামচ এস্টেরিয়া কোকোনাট অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। ৫ মিনিটের মত তালুতে মাসাজ করে সারা রাত রাখতে হবে। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলবেন। এটা সপ্তাহে ৩-৪ বার করা গেলে ভাল। খুব ব্যস্ত রুটিনে সম্ভব না হলে সপ্তাহে মিনিমাম ২ বার এই অয়েল মাসাজটা করতেই হবে। এর সাথে নারিশমেন্ট অয়েল দিতে হবে তালু বাদে বাকি চুলে। হেয়ার ফলের প্রবলেমে ১ মাসের মাঝেই রেজাল্ট দেখা শুরু করার কথা। হেয়ার ফল প্রবলেম কন্ট্রোলে চলে আসলে সপ্তাহে ২ রাত ক্যাস্টর অয়েলটা স্কাল্পে দিতে পারেন যাতে নতুন করে হেয়ার ফল প্রবলেম না হয়। নারিশমেন্ট অয়েল every alternate day তে শ্যাম্পুর আগে ব্যবহার করলে খুব ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়। এটা কন্টিনিউ করতে পারেন আজীবন! অনেকেরই চুল কালার বা স্ট্রেইটেনিং/ রিবন্ডিং করার পরে রাফ হয়ে যায়। এই নারিশমেন্ট অয়েলটা ব্যবহার করলে এই রাফনেস টা চলে যাবে। ইভেন কালার করা অংশগুলোও সফট থাকবে, প্লাস কোন স্প্লিট এন্ড হবেনা!

সাথে শ্যাম্পুটাও হতে হবে ড্রাই এবং রাফ চুলের জন্য উপযুক্ত। শ্যাম্পুটা যদি ঠিকভাবে সিলেক্ট করা না হয় তাহলে রাফনেস কখনোই কমানো যাবেনা। অয়েলি চুলে অনেকে কন্ডিশনার ব্যবহার করা পছন্দ না করলেও ড্রাই চুলের জন্য প্রতিবার শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনারের বিকল্প নেই।

ড্রাই চুলে প্রতিবার শ্যাম্পু করার চেয়ে আরেকটি ভাল অপশন Co-wash করা। কো ওয়াশ কি জানতে হলে পড়তে হবে এই ব্লগটি

শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের পরেও ড্রাই চুলের জন্য আরো দুট ধাপ জরুরী। ১) একটি ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক/ ট্রিটমেন্ট ২) একটি হেয়ার সেরাম/ ড্রাই অয়েল।

সপ্তাহে ১ বা ২ দিন ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট ইউজ না করলে চুলে এনাফ ময়েশ্চার পাওয়া যায়না। কন্ডিশনারের সাথে এর ব্যবহারের পার্থক্য হল কন্ডিশনার ২-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং ব্যবহারের আগে স্টিম নিয়ে নিতে পারলে খুবই ভাল হবে। এতে hair follicle খুলে যায় এবং চুলের গভীরে নারিশমেন্ট পৌঁছায়। 

হেয়ার সেরাম ব্যবহার করতে পারেন যে কোন সময়। চুল ধোয়ার পরে ড্যাম্প চুলে (মানে চুলটা এতখানি শুকিয়ে আসলে যাতে ভেজা ভাবটাও থাকে কিন্তু চুল থেকে পানি না পড়ে) দিতে পারেন আবার সম্পূর্ণ শুকিয়ে আসলেও দিতে পারেন। স্পেশালি আঁচড়ানোর আগে যাতে খুব সহজে জট খুলে আসে। হেয়ার সেরামগুলো দেখতে তেলের মত হলেও সাধারণ তেলের মত অনেক পরিমাণে ব্যবহার করা যাবেনা। হাতের তালুতে অল্প নিয়ে পুরো চুলে আলতো করে বুলিয়ে নিলেই চলে।

ঘরে বসে কীভাবে করবেন পার্লারের মত হেয়ার ট্রিটমেন্ট

গতবছর পার্লারে গিয়েছিলাম হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে। অনেককেই বলতে শুনি অন্তত কিছু ট্রিটমেন্ট করানো উচিত হেলদি হেয়ারের জন্য। পার্লারে যাওয়ার পর তারা আমার চুলের লেন্থ দেখে প্রথমেই ভালো একটা এমাউন্ট চেয়ে বসলেন যদিও তখনকার আমার চুলের লেন্থ আরো কম ছিলো, তাদের কাছ থেকে ট্রিটমেন্ট নেয়ার পর খুব একটা ডিফারেন্স আমার চোখে পরে নাই, এছাড়া সবসময় করার মত এফোর্ডেবল ও মনে হয়নি। তারপর থেকে ডিসিশন নিয়েছিলাম যা পারি বাসায়ই ট্রিটমেন্ট করবো চুলের, ন্যাচারালি।

বলাই বাহুল্য চুল নিয়ে বিড়ম্বনার শেষ নেই, হোক শর্ট হেয়ার অর লং।সবচেয়ে বেশি প্রবলেম ফেস করছিলাম চুল পড়া নিয়ে আর আগা ফাটা নিয়ে। অর্গানিক প্রডাক্ট দিয়ে কেয়ার শুরু করার পর আলহামদুলিল্লাহ সলভ করতে পেরেছি অনেকটাই।

এবার আসি কি কি অর্গানিক প্রডাক্ট ইউজ করা যায় :

–স্ক্যাল্পের জন্য প্রথমেই আমাদের একটা তেল ইউজ করা উচিত সেটা তো সবারই জানা কথা। তবে আমি আসলে সবসময় ই অর্গানিক প্রডাক্টের উপর জোর দেই বেশি। নামীদামী ব্র্যান্ডের তেলের চেয়ে অর্গানিক কোকোনাট অয়েল প্রেফারেবল। রেগুলারলি কেয়ারিং এর জন্য এস্টেরিয়ার কোকোনাট অয়েল টা বেশ ভালো। চুলের যত্নে নারিকেল তেলের গুণাগুণ তো আমরা জানি এছাড়া চুলে কোনো অর্গানিক প্যাক লাগানোর আগেও তেল লাগানো উচিত তাহলে শ্যাম্পু করে প্যাকটা উঠানোর সময় চুল ঝরে কম।

–এখন একটা প্যাকের কথা বলি যেটা খুব সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় এবং নানান গুনাগুনে ভরপুর, আমলকী। এস্টেরিয়ার স্টকেও আমলকীর গুঢ়া এভেলেইবল। আমলকী হেয়ার টনিক হিসেবে কাজ করে, এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা প্রাকৃতিকভাবে চুলে কন্ডিশনিং এর কাজ করে, তাছাড়াও চুলের গোড়া মজবুত করা, হেয়ার ফল কনট্রোল, ড্যানড্রাফ রিডিউসিং, হেয়ার শাইনিং এ আমলকীর ব্যবহার বেস্ট।

যে যে উপায়ে ইউজ করা যায় :

— কুসুম গরম পানিতে পরিমাণ মত আমলকীর গুঢ়া নিয়ে পেস্ট তেরী করে একঘন্টার মত রেখে দিতে হবে। একঘণ্টা পর স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিয়ে ৩০মিনিট অথবা একঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেললেই হবে। যারা ঘরে বাইরের কাজে খুব বিজি সময় কাটান অনেক সময় নিয়ে নানান উপাদান দিয়ে প্যাক বানানোর সময় পান না তাদের জন্য এই প্যাকটা আসলে খুবই কার্যকরী। কম সময়ে কম শ্রমে ভালো একটা আউটপুট পাওয়া যায়।

–পেয়াজের রসের সাথেও কিন্তু আমলকীর পাউডার ইউজ করা যায় এই প্যাকটা হেয়ার ফল কন্ট্রোলে নিয়ে আসে। পেয়াজ ব্লেন্ড করে রস আলাদা করে নিয়ে তার সাথে আমলকীর পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিয়ে স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে।

মেহেদি গুঢ়ার সাথে আমলকীর গুঢ়া হালকা গরম পানিতে মিক্স করে ব্যবহার করলে চুলের গোড়া মজবুত হয় এবং চুলে একটা শাইনি লুক নিয়ে আসে।

উপরে যে যে ব্যবহারের কথা বললাম সবগুলোই সহজে কম সময়ে এপ্লাই করা যায় এবং ভালো বেনেফিট দেয়। আমলকীর গুঢ়া ও এস্টেরিয়া পেইজে এভেলেইবল আছে সো সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন ব্যবহারের জন্য। যেকোনো প্যাক বানানোর ক্ষেত্রে মিক্সচার তৈরী করে কিছুক্ষণ রেখে দেয়া ভালো তাহলে ইনগ্রেডিয়েন্টস গুলা প্রপারলি মিক্স হয়। তবে বেস্ট আউটপুট পাওয়ার জন্য অবশ্যই রেগুলারিটি মেইনটেইন করতে হবে। হোক সেটা প্রতি সপ্তাহে একদিন। এরপর চুলের ডিফারেন্স গুলা নিজেই বুঝতে পারবেন। তাহলে আজকের মত আমলকী সমাচার এখানেই শেষ করি।

লিখেছেন-

Shama Nishat Barisha

Content Creator & Beauty Advisor, Asteria

চুল পড়া সমস্যায় মেথি গুঁড়া

গতবার হেয়ার কেয়ার নিয়ে পোস্ট করার পর বেশিরভাগ আপুরাই কমেন্টে জানিয়েছেন খুব চুল পড়ছে। হেয়ার ফল নিয়ে আসলে আমাদের সবারই কমবেশি দূর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেক আপু জানতে চেয়েছেন চুল ঘন করবো কিভাবে লম্বা করবো কিভাবে। যদি খুব হেয়ার ফল হতে থাকে তাহলে আপুদের বলবো চুল ঘন ও লম্বা করার স্টেপে পরে যান। আগে হেয়ার ফল কন্ট্রোলে নিয়ে আসেন। কেননা হেয়ার ফল হতে থাকা অবস্থায় আপনি চাইলেও এটা সেটা মেখে চুল ঘন করতে পারবেন না। লম্বা করতে পারলেও হেয়ার ফলের কারণে লম্বা চুল হয়ে যাবে পাতলা ফিনফিনে যেটা সুন্দর দেখানোর বদলে দৃষ্টিকটুই লাগবে। তাই আজ এই কমন প্রবলেম টা নিয়েই লিখবো কিভাবে হেয়ার ফল রিডিউস করা যাবে সাথে হেয়ার লেনথ ও বাড়ানো যাবে।
হেলদি হেয়ারের জন্য অবশ্যই হেয়ার মাস্ক ইউজ করা উচিত। তাই চুলের যত্নে পছন্দমত একটি অর্গানিক প্যাক বেছে নেয়া উচিত। এখন অনেকেই বলবেন স্টকে তো এতো এতো প্রডাক্ট কোনটা ছেড়ে কোনটা ইউজ করা যায়! অথবা আমার জন্য স্যুইটেবল কোনটা? অথবা আমি কিভাবে বুঝবো এই প্যাকটা আমার চুলেই দরকার! সেজন্যই প্রথমে বলছিলাম আগে নিজের সমস্যা গুলো ভালভাবে বুঝুন, সমস্যাগুলো আসলে কি কারণে হচ্ছে কারণ টা খুঁজে বের করুন।
 
অর্গানিক হেয়ার মাস্ক মেথি গুড়া —-
 
মেথি আমরা সবাই চিনি। অনেকেই মেথি ইউজ করে থাকেন আবার অনেকে শুধু নাম শোনা পর্যন্তই ব্যবহার করে দেখা হয় নি কখনো । কিন্তু আমরা কি জানি মেথি প্রচুর ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ। মেথিতে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন সি, আয়রন, নিকোটিনিক এসিড এবং লেসিথিন। এতে থাকা একেকটি উপাদান চুল পরা কমাতে, চুল বৃদ্ধি করতে, চুল ঘন করতে কাজ করে থাকে। এমনকি মেথি অকালে চুল পেকে যাওয়া থেকেও বিরত রাখে। চুলের খুশকি দূর করে। এরকম আরো অনেক উপকারিতা আছে যা লিখলে লিখে যেতেই হবে। তাই চুলের সমস্যা সমাধানে মেথির হেয়ার মাস্ক টা সহজেই বেছে নেয়া যেতে পারে।
 
মেথির ব্যবহার————
 
অনেক আগে থেকেই চুলের যত্নে মেথি বাটা ইউজ করা হয়। কিন্তু এখন আমরা সবাই এতো বেশি বিজি থাকি কাজকর্ম নিয়ে মেথি বেটে মাথায় দেয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। তাই মেথির ব্যবহার সহজ করতে এস্টেরিয়ার স্টকে মেথি গুড়া আছে। খুব কম সময়ে চাইলেই ব্যবহার করা যায়। এই মেথি গুড়া নানাভাবে ব্যবহার করা যায়:
 
১. মেথি গুড়া পেস্ট করে কয়েক ঘন্টা রেখে দিয়ে তার সাথে টক দই, এলোভেরা জেল মিক্স করে চুলে দিয়ে ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুল সিল্কি, শাইনি করতে হেল্প করে, চুল পরা কমায়। বাজার থেকে এলোভেরা কিনে এনে, জেল বের করে ইউজ করা অনেকে ঝামেলা মনে করেন আবার প্রিজার্ভেশনের ও ব্যাপার থাকে। তাই চাইলে এস্টেরিয়ার স্টকে থাকা এলোজেল ও ইউজ করতে পারেন প্যাকে।
 
২. মেথি গুড়া পেস্ট করে সাথে ডিমের সাদা অংশ, সামান্য ক্যাস্টরওয়েল মিক্স করে মাস্ক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করুন। এতে হেয়ার ফল কমবে নতুন হেয়ার গ্রো ও করবে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল ঘন হবে।
 
৩. মেথির পেস্টের সাথে পাকা কলা ব্লেন্ড করে মিক্স করুন সাথে আমলকী গুড়া দিয়ে মিক্সচার করে চুলে ব্যবহার করুন। এই প্যাক চুলকে সফট & সিল্কি করে, চুল পড়া কমায়, চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
 
৪. যাদের অত সময় হয়ে উঠে না তারা শুধুমাত্র মেথি গুড়া পানি দিয়ে পেস্ট করে চুলে লাগাতে পারেন। তাহলেও ভালো আউটপুট পাবেন নিয়মিত ব্যবহারে।
 
উপরের রেমেডিগুলা শুধু হেয়ার ফল কন্ট্রোলের জন্যই না যারা চুল লম্বা ঘন করতে চান তাদের জন্যও খুব বেনেফিশিয়াল হেয়ার মাস্ক এই মেথি গুড়া। বেস্ট আউটপুট পাওয়ার জন্য রেগুলারলি ইউজ করুন। এবং অবশ্যই বাহ্যিক পরিচর্যার পাশাপাশি মেন্টাল স্ট্রেসের দিকে নজর দিন খাওয়া দাওয়া প্রোপারলি করুন ইনশাআল্লাহ সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবেন।

লিখেছেন-

Shama Nishat Barisha

Content Creator & Beauty Advisor, Asteria

What is CGM (Curly girl method)

এটা কোঁকড়া বা কার্লি চুলের যত্ন নেয়ার একটা প্রসেস। কি ধরণের প্রোডাক্ট ইউজ করলে সবচে defined curl হয়, হেলদি+ম্যানেজেবল থাকে এবং সুন্দর লাগে। কি কি ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করা যাবেনা, কি কি কাজ করা যাবেনা। এই মেথড Lorraine Massey নামক লেখিকা Curly Girl: The Handbook নামের বই এ প্রকাশ করেছেন।

এটা করলে কী লাভ হবে? 

বাংলাদেশের আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার কারণে কোঁকড়া চুলের অধিকারীরা তাঁদের চুল সুন্দর দেখাতে বেশ ঝামেলা পোহান। হয় তা উশকো খুশকো লাগে, অথবা ফুলে থাকে (অনেকে বলেন ঝাড়ুর মত!!)। অনেকেই কোঁকড়া চুলকে অসুন্দর ভেবে তা অনেক কেমিক্যাল ব্যবহার করে straightening করান। বছরের পর বছর কেমিক্যাল ব্যবহারের কারণে চুল প্রাণ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি হারিয়ে ফেলে এবং চুল আপাতদৃষ্টিতে manageable লাগলেও তা ভবিষ্যতে চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। কার্লি গার্ল মেথডে কোঁকড়া চুলের সঠিক যত্নের মাধ্যমে, সঠিক প্রোডাক্ট ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার কোঁকড়া চুলকেও আপনি গোছানো এবং সুন্দর দেখাতে পারেন। ফলাফল পাবার পর অনেক টাকা খরচ করে প্রতি বছর রিবন্ডিং করার প্রয়োজন পরবে না বরং আপনার চুল হবে অন্য সবার চেয়ে আলাদা এবং আপনাকেই সবাই জিজ্ঞেস করবে “আপনার চুল কোন পার্লার থেকে এত সুন্দর করে কার্ল করেছেন প্লিজ বলুন! আমিও করতে চাই!”

আচ্ছা! কিন্তু কিভাবে করে এই মেথড?

প্রথমেই বলে নিচ্ছি- শুরু শুরুতে একটু কঠিন মনে হয়। কিন্তু আসলে তা অত কঠিন কিছু নয়। স্বাভাবিক ভাবে চুলের যত্নে আমরা যা যা করি তাই করতে হয়। শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, ডিপ কন্ডিশনের জন্য হেয়ার মাস্ক/ হেয়ার ট্রিটমেন্ট বা হেয়ার স্পা। একমাত্র পার্থক্য- যেকোন শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার বা হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা যাবেনা। আমরা সাধারণত শ্যাম্পুর নাম বা ব্র্যান্ড দেখে শ্যাম্পু কিনি। পেছনে শ্যাম্পুটা কি কি দিয়ে তৈরী তা লেখা থাকে, সে ব্যাপারে মাথা ঘামাই না কারণ এই কেমিক্যাল গুলো আমাদের সবার কাছে পরিচিত নয়। পড়তে গেলে হিব্রু লাগে। এই মেথডে কেয়ার নিতে গেলে এই ইনগ্রেডিয়েন্ট লিস্টের সাথে পরিচিত হতে হবে। এস্টেরিয়া আপনাদের জন্য সেই কাজটিই সহজ করে এনেছে। হাজার ব্র্যান্ডের হাজার প্রোডাক্টের পেছনের এই হিব্রু পড়ে আপনার মূল্যবান সময় দিতে হবেনা বরং আমরাই আপনাকে বলে দিব কোন প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

কেন আমি যেকোন শ্যাম্পু কন্ডিশনার বা অন্য প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে পারব না?

Hair care products এ বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল থাকে যা একেক ধরণের চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরী করা হয়। কোঁকড়া চুলের বিশেষত্ব হচ্ছে- এই সব গুলো কেমিক্যালই কোঁকড়া চুলের জন্য উপযোগী না। এরা চুলের স্বাভাবিক পুষ্টি এবং বৃদ্ধি ব্যাহত করে যার কারণে চুল গোছানো দেখানোর বদলে উড়ে উড়ে থাকে, জট লেগে যায় এবং আলটিমেটলি চুলটা যেমন সুন্দর দেখানোর কথা ছিল তা না হয়ে ঠিক বিপরীত হয়। এবং এর পুরোটাই নির্ভর করে চুলের যত্নে যে প্রোডাক্ট টা ব্যবহার করছেন তার কেমিক্যাল উপাদান গুলো আপনার চুলের ধরণের জন্য উপযোগী কিনা।

আমি কি যেকোন সময় এই মেথড ফলো করা শুরু করতে পারব?

অবশ্যই। তবে এই মেথড শুরুর আগে একবার এমন একটা শ্যাম্পু দিয়ে আপনার চুলটা ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে যাতে চুলের উপর আগে থেকে বিভিন্ন অনুপযোগী কেমিক্যালের যে আবরণ তৈরী হয়ে আছে তা পরিষ্কার হবে। এই চুল ধোয়াটাকে বলে final wash এবং যে শ্যাম্পুগুলো দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হয় এই শ্যাম্পুগুলোকে বলা হয় final wash shampoo. তারপর থেকে আপনি প্রপার প্রডাক্টগুলো ব্যবহার শুরু করতে পারবেন।

বুঝেছি। তাহলে আমাকে কি ধরণের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে?

বেশিরভাগ শ্যাম্পু তৈরীর মূল উপাদান SLS ঘরানার কেমিক্যাল (এবং অনেকগুলোতেই সিলিকন ঘরানার কেমিক্যাল)। এই SLS chemical গুলো কোঁকড়া চুলের জন্য উপযোগী নয়। তাই এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে যাতে এই উপাদান গুলো নেই। কারণ বলছি। আমাদের সবার মাথার তালু থেকে স্বাভাবিক তেল (natural oil) প্রাকৃতিক ভাবেই তৈরী হয় চুলের কোমলতা বজায় রাখতে যা সমগ্র চুলে পুষ্টি (nourishment) যোগায়। কারো চুলে এই তেল কম তৈরী হয়, কারো চুলে বেশি তৈরী হয়। এই SLS কেমিক্যাল গুলো কোঁকড়া চুলের ন্যাচারাল অয়েল অতিরিক্ত দূর করে তার পুষ্টিতে বাঁধা দেয়। সিলিকন কেমিক্যাল গুলো চুলের উপর এমন একটা আবরণ (coating) তৈরী করে যার কারণে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে অন্য যে উপাদানের প্রোডাক্টই চুলে ব্যবহার করুন না কেন তা ঠিকমত কাজ করতে পারেনা। তাই চুলের যত্নে শুধু মাত্র সেসব প্রোডাক্টই ব্যবহার করা যাবে যাতে এই কেমিক্যাল গুলো নেই।

মেথড শুরু করার আগে এক ধরণের বিশেষ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে লেখা হল যে, কোন শ্যাম্পু? এগুলো কি বিশেষ কোন শ্যাম্পু?

এই final wash shampoo গুলোর বিশেষত্ব হচ্ছে এতে ব্যবহৃত কেমিক্যালের লিস্টে Sodium Lauryl Sulfate (SLS) and Sodium Laureth Sulfate (SLES) থাকবে কিন্তু কোন সিলিকন, মিনারেল অয়েল, Alcohol denat, ওয়াক্স- এই ক্ষতিকর ধরণের কেমিক্যাল থাকতে পারবে না।

আর কন্ডিশনার? বা হেয়ার মাস্ক/ সেরাম জাতীয় আইটেমগুলো?

বেশিরভাগ হেয়ার সেরাম/ মাস্ক বা কন্ডিশনারের মূল উপাদান সিলিকন। সিলিকন ছাড়া প্রোডাক্ট (*কিছু ব্যতিক্রম বাদে) ব্যবহার করতে হবে।

এমন আর কিছু কি আছে যা ব্যবহার করলে কোঁকড়া চুলের ক্ষতি হয়?

হ্যা। একটা লিস্ট দিচ্ছি!

  • Heat styling tools
  • Combs & brushes (everyday, on dry hair)
  • Sulfates – namely sodium lauryl sulfate & sodium laureth sulfate
  • Non-water soluble silicones.
  • Alcohols – (Denatured alcohol, SD alcohol 40, Witch hazel, Isopropanol, Ethanol, SD alcohol, Propanol, Propyl alcohol, Isopropyl alcohol)

 

লিখেছেন-

Dr. Sanjida Alam

MBBS, MPH (NIPSOM), PGT (Surgery)

PAO or Period after opening date

আপনার প্রোডাক্টের গায়ে এক্সপায়ারি ডেইট খুঁজে না পেলে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। খুঁজে না পাবার কারণ সাম্প্রতিক সময়ে প্রোডাক্ট এক্সপায়ারি ডেইট প্রকাশের নিয়ম পরিবর্তণ হয়েছে। UK, EU অরিজিনের প্রোডাক্টগুলো এখন Printed expiry date এর বদলে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নিয়ম অনুযায়ী Period after opening ডেইট লেবেলে দেয়। একে সংক্ষেপে বলা হয় PAO। এর symbol টা দেখতে একটা খোলা কসমেটিক জারের মত। আপনার প্রোডাক্টের প্যাকেজিং এর পিছনের দিকে দেখবেন ছবির মত একটা সাইন আছে, যাতে একটা সংখ্যা এবং পাশে M লেখা। M মানে মাস এবং সংখ্যা দিয়ে কত মাস সেটা বোঝানো হয়। পুরো কথাটির মানে হচ্ছে প্রোডাক্টটির ক্যাপ খোলার পর থেকে ওই সংখ্যক মাস আপনি এটা ব্যবহার করতে পারবেন। যদি 12 M লেখা থাকে তার মানে প্রোডাক্ট খোলার পর ১২ মাস সেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

সাধারণত ক্যাপ সিলড অবস্থায় একটি প্রোডাক্টের গুণগত মান ৩-৫ বছর অক্ষুন্ন থাকে। ধরুন ২০২০ সালে আপনি একটি প্রোডাক্ট কিনলেন যাতে 12 M PAO লেখা আছে। অর্থাৎ, ২০২৫ সালের মাঝে যে কোন সময় এর ক্যাপ খুললে আপনি ১২ মাস পর্যন্ত প্রোডাক্টটি ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রোডাক্টটির সিল/ ক্যাপ কবে খোলা হল এটা সম্পর্কিত নয়। কারণ এই প্রোডাক্টগুলোর এক্সপায়ারির সম্পর্ক air contact এর সাথে। প্রোডাক্ট ম্যানুফেকচারের সময় এটাকে এয়ার টাইট করে প্যাকেজিং করা হয়। যতদিন environment air এর সাথে কন্টাক্টে না আসছে ততদিন প্রোডাক্ট এর গুনগনমাত অক্ষত ও একইরকম থাকবে 🙂