Beauty & Health, Mom & Baby

হাইপারপিগমেন্টেশন- ত্বকের কালো দাগ

ত্বকের খুব সাধারণ সমস্যা হচ্ছে হাইপারপিগমেন্টেশন। কিন্তু এটা কী? আর কিভাবে আপনি এর চিকিৎসা করবেন? জানতে হলে পড়ুন।

হাইপারপিগমেন্টেশন বলতে বোঝায় ত্বকে ছোপ ছোপ দাগ যা স্বাভাবিক রঙ এর চেয়ে কিছুটা গাঢ় হয়। এমনটা হয় যখন বেশী মেলানিন (আপনার ত্বকের রং হয় যে পিগমেন্টে) সৃষ্টি হয়। নানান রকমের হাইপারপিগমেন্টেশন রয়েছে আর এর কারণ বয়সভেদে, সূর্যে তাপে, হরমোনের পরিবর্তনে আর ত্বকের আঘাতের কারণে ভিন্ন ভিন্ন হয়।

এসপিএফ- মূল রক্ষাকর্তা

আপনার হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্য দায়ী যা-ই হোক না কেন, এসপিএফকে বাদ দেয়া যাবে না। এটা হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধ এবং আরও খারাপ হওয়া থেকে রক্ষা করবে। আপনাকে রোজ কমপক্ষে এসপিএফ৫০ ব্যবহার করতে হবে এবং দুই ঘন্টা পরপর  মেখে নিতে হবে। বিশেষ করে অনেক ক্ষণ সূর্যের নীচে থাকলে। আর আপনার যদি মনে হয় যে আপনার মেসতা আছে, তাহলে সানস্ক্রিনের পাশাপাশি একটা বড় টুপি কিংবা ছাতা রিকমেন্ডেড।

 ত্বকের সমস্যার সমাধানে

সানবার্ন অথবা কেমিক্যাল বার্ন থেকে হাইপারপিগমেন্টেশন হতে পারে। তা যেন না হয় সেজন্য আপনাকে ত্বকের যত্ন নিতে হবে, বিশেষ করে আপনার যদি পিগমেন্টেশনের সমস্যা থাকে। আপনার ত্বক যেন শুষ্ক না হয় সেটা খেয়াল রাখুন, খসখসে, শুষ্ক করে দেয় এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। তবে লক্ষ্য রাখবেন যেন বেশী বেশী হাই স্ট্রেংথ এক্টিভস আর এক্সফোলিয়েন্ট ব্যবহার না করা হয়।

দৈনিক ব্যবহার করার মত প্রোডাক্টের পিছনে খরচ করা

আপনার রুটিনে এমন একটা সিরাম রাখুন যাতে টাইরোসিনাজ ইনহিবিটর্স আছে। টাইরোসিনাজ একটি এনজাইম, যা মেলানিন তৈরিতে প্রয়োজন হয়। আর এই উপাদানগুলো  হাইপারপিগমেন্টেশন সৃষ্টি হওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। লেবেলের ফর্মুলায় এই উপাদানগুলো আছে কিনা দেখুনঃ যষ্টিমধু এক্সট্রাক্ট, কোজিক এসিড, ট্রানএক্সামিক এসিড, আলফা আরবুটিন, আজেলিক এসিড, নিয়াসিনামাইড ও হাইড্রোকুইনোন।

আপনার যদি পোস্ট-ইনফ্লেমেটরি হাইপারপিগমেন্টেশন হয় (পিগমেন্টেশন  থেকে যায় ত্বকের একনি বা কোন ক্ষতির কারণে), তাহলে সেই জায়গাগুলো খোঁটা বা চাপা ঠিক হবেনা। এর ফলে সেরে ওঠা  ব্যহত করে সমস্যা জটিল করে তুলবে, ত্বকের রং নষ্ট করে।

আপনার রুটিনে গ্লাইকোলিক এসিডের মত এক্সফোলিয়েটিং এক্টিভস রাখলে ত্বকের উপর থেকে পিগমেন্টেশন দ্রুত মিলিয়ে যাবে। রেটিনল সেরাম যদি রাখেন রুটিনে, তাহলে ত্বকের সেল এর টার্নওভার বাড়বে।

ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া

হাইপারপিগমেন্টেশনের চিকিৎসায় ফল দেয় রাসায়নিক পিল, মাইক্রো-নিডলিং, আইপিএল আর লেজার। আপনি কোনটি বাছবেন তা নির্ভর করে আপনার ত্বকের টোন কেমন আর পিগমেন্টেশন কত গভীর। তাই সবচাইতে ভাল হয় যদি আপনি কোন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেন।

আশা-নিরাশা

হাইপারপিগমেন্টেশনের চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ এবং এর ধারাবাহিকতা থাকতে হয়। যেকোন প্রসাধনী কিংবা ওষুধ কাজ করতে ৩মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে, তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত রুটিন ফলো করা অত্যন্ত জরুরী।

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

Leave a Reply