আমি একজন ওয়ার্কিং ফ্রম হোম মম। তাই পটি ট্রেইনিং এর স্লো ট্রানজিশন আমার জন্য সুবিধাজনক হয়েছে এবং আমি বাচ্চার ৭মাসে পটি ট্রেইনিং শুরু করেছি। তার আগ পর্যন্ত বাচ্চা চব্বিশ ঘন্টাই ডায়াপার এ অভ্যস্ত ছিল। প্রথমত পটি করার সময়টুকু বাদে দিনেরবেলা বাচ্চাকে ডায়াপার ছাড়া রেখেছি কিন্তু রাত্রে ডায়াপার পরিয়েই রাখতাম। নোটিশ করেছি যে বাবু কোন কোন সময় প্রসাব করে। ততদিনে যেহেতু বসতে শিখেছে এবং অল্প স্বল্প হামাগুড়ি দিচ্ছে, তাই বেশিরভাগ সময় তাকে ফ্লোর এ রাখা হত। ২/৩ দিনে তার প্রসাব-পায়খানার রুটিন বুঝা গেল। এরপর থেকে সময় ধরে ধরে তাকে টয়লেট এ নিয়ে প্রসাব করানোর চেষ্টা করানো হত। এভাবে যখন সে বারবার কমোড এ বসে প্রসাব করা শুরু করল, আমি আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম পুরো রাতেও তার ডায়াপার শুকনো থাকছে। তাই দুইমাস রাতে ডায়াপার দিলেও আস্তে আস্তে এখন রাতেও ডায়াপার ছাড়া রাখছি। সকালে ৭/৮টা নাগাদ ঘুম থেকে উঠার পর সে অল্প সময়ের ব্যবধান এ বার বার প্রসাব করে ব্লাডার খালি করে নেয়।
একই সাথে তার পায়খানা করার সময় হলে আমি দৌড়ে নিয়ে কমোড এ বসিয়েছি, এখন তার পায়খানার বেগ হলে সে নিজেই বাথরুম এর দিকে হামাগুড়ি দিয়ে ভোঁ দৌড় দেয়। একটা ভাল ইনভেস্টমেন্ট হল কমোড সিট কিনেছি (আমাদের কমোডের উপর এটা ঢাকনার মত বসানো। আলাদা পটি ক্লিন করার মত সময় আমার নেই) কমোড সিট কেনার আগে আমাদের ধরে বসে থাকত বড়দের কমোড এই। সিট কেনার পর বসানোর জন্য দুইদিন হাতে পুশ শাওয়ার দিয়েছি ঘুষ হিসেবে (মুনাটিক এর মত বলতে হয়, বাঙালী বাচ্চা ঘুষ তো খাবেই 😛 ) এখন খুব সুন্দর বসে থাকে, কোন সমস্যা হয়না।
আমি ৬মাস শুরু হবার পর পটি ট্রেইনিং এ মনযোগ দিয়েছি তার কারণ, বাচ্চা বসতে শেখার আগে তাকে নিয়ে কমোড এ বারবার কষ্ট করবার আমি কোন মানে দেখিনা। একই সাথে বাচ্চা ১বছরের বেশি হয়ে গেলে তার অপিনিয়ন আরো জোড়ালো হয়। তখন তার মর্জি না হলে তাকে অভ্যস্ত করাটা আমার মনে হয়েছে একটু কঠিন হতে পারে। তবে মনে রাখবেন, পটি ট্রেইনিং এর কোন পারফেক্ট বয়স নেই, এভারেজ বয়স ২.৫ বছর। কেউ আগে করে কেউ পরে। এগুলো নিয়ে স্ট্রেসড হবার কিছু নেই।
লিখেছেন-