ক্লাস্টার ফিডিং এর জন্য গুগল এ ছবি ঘেটে কোন বিদ্ধস্ত মায়ের ছবি পেলাম না। ছবির মায়ের কান্নাকান্না চেহারা দেখে এই ছবিটা নিলাম, আজকের টপিক এর সাথে কিছুটা রিলেভেন্ট বলে। ক্লাস্টার ফিড করাচ্ছে এমন মায়ের চুল হবে কারেন্ট এর শক লাগলে যেমন চুল দাড়ায়ে থাকে, ওরকম আর কান দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে, এরকম। এই জিনিস যার সাথে হয়নাই, তার নিজের বাদে আর কারো পক্ষে বোঝা সম্ভব না, কি অমানুষিক কষ্ট আর জিনি জানেন না, তার জন্য কত টেনশন এর ব্যপার।
বিকাল ৩টা/৪টা থেকে রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত টানা ব্রেস্ট ফিডিং যে কি পরিমান এনার্জি ড্রেইনিং, সেটা লিখে বুঝানোর মত ক্ষমতা আমার নাই।
যদি আপনার বাবু অল্প সময়ের মধ্যে ঘন ঘন ব্রেস্টফিড করতে চায়। ফিডিং এর পর ও স্যটিস্ফাইড না হয়ে ইরিটেটেড হয়ে কান্না করা/ অস্থির হয়ে যেতে থাকে এবং ৪-৫ ঘন্টা পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকে, এরকম ফিডিং কে ক্লাস্টার ফিডিং বলা যেতে পারে। এরকম অবস্থায় বাবুর মা নিজেই চিন্তায় পড়ে যান, মিল্ক-সাপ্লাই ঠিক মত হচ্ছে কিনা, বাবুর কোনো রকম অসুস্থতা বা সমস্যা হচ্ছে কিনা। ঘাবড়ে যাবার মতো এটি কোনো বিষয় তো না ই বরঞ্চ, এটা খুব স্বাভাবিক একটি ঘটনা।
কেন বাবু ক্লাস্টার ফিডিং করে?
এ সময়ে করণীয়
-
বাবু অতিরিক্ত কান্না করলে ,অস্থির হয়ে থাকলে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। নার্সিং এর সময় ঘুমপাড়ানি গান,হালকা দুলুনি, নিভু নিভু আলো, আরামদায়ক রুম টেম্পারেচার বাচ্চাকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
-
দুশ্চিন্তায় পড়ে ফর্মূলা মিল্ক না দিয়ে ব্রেস্ট মিল্ক পাম্প করে সেটাই ফিডারে দিতে পারেন। তবে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্টফিডিং বাবুর জন্য বেশী ভালো।
-
প্রতি মাসে বাবুর উচ্চতা এবং ওজন মেপে খেয়াল রাখুন তার বয়স অনুযায়ী ওজন এবং উচ্চতা ঠিক আছে কিনা। ডাক্তার রা বলেন ৬ মাসে জন্মের সময়ের ওজন এর ডাবল হলেই ওজন ঠিক মত বাড়ছে। চিন্তার কোন কারণ নেই। দৈনিক ৬বার প্রসাব করলেই বুঝা যাবে বাচ্চা ঠিক মত দুধ পাচ্ছে।
লিখেছেন-