অনেকেরই প্রতিদিনের প্রশ্ন- ড্রাই, রাফ চুল বা কার্লি চুল, একই সাথে চুল পড়াও কোন ভাবে কমছে না! কি করতে পারি? আজকের ব্লগে কিছু টিপস শেয়ার করার চেষ্টা করব।
সবার প্রথম কথা ডায়েট আর লাইফস্টাইল। এই দুটি ঠিক না হলে যতই কেয়ার নিন না কেন চুল ভাল হবেনা। সবজি এবং প্রোটিন নিয়ম করে খেতে হবে। সারাদিন বাইরে যদি থাকা হয় এবং বাইরের fad food খেতে হয় শুধুমাত্র তখন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। আমাদের দেশের স্বাভাবিক ডায়েটে এক্সট্রা সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন হয়না।
দ্বিতীয় কথা, যাঁদের প্রতিদিন বের হতে হয় চেষ্টা করবেন যতক্ষণ রাস্তায় আছেন চুল ঢেকে চলতে। ধুলাবালি, ঘামে ভিজে থাকা চুলে খুব সহজে জট লেগে যায় এবং নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে।
এবার আসি product wise হেয়ার কেয়ার রুটিনের কথা। চুলে তেল দিয়ে overnight রেখে বেশ উপকার পাওয়া সম্ভব। রাফ চুল, সাথে হেয়ার ফল থাকলে এই অয়েল রুটিনটা ট্রাই করে দেখতে পারেন। Asteria এর নিজস্ব production এর ২ টা প্রোডাক্ট ইউজ করতে হবে এজন্য। একটা castor oil (for preventing hair fall) এবং regrowth and nourishment oil (চুল soft করা এবং nourishment এর জন্য)। ১ চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল+৩ চা চামচ এস্টেরিয়া কোকোনাট অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। ৫ মিনিটের মত তালুতে মাসাজ করে সারা রাত রাখতে হবে। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলবেন। এটা সপ্তাহে ৩-৪ বার করা গেলে ভাল। খুব ব্যস্ত রুটিনে সম্ভব না হলে সপ্তাহে মিনিমাম ২ বার এই অয়েল মাসাজটা করতেই হবে। এর সাথে নারিশমেন্ট অয়েল দিতে হবে তালু বাদে বাকি চুলে। হেয়ার ফলের প্রবলেমে ১ মাসের মাঝেই রেজাল্ট দেখা শুরু করার কথা। হেয়ার ফল প্রবলেম কন্ট্রোলে চলে আসলে সপ্তাহে ২ রাত ক্যাস্টর অয়েলটা স্কাল্পে দিতে পারেন যাতে নতুন করে হেয়ার ফল প্রবলেম না হয়। নারিশমেন্ট অয়েল every alternate day তে শ্যাম্পুর আগে ব্যবহার করলে খুব ভাল রেজাল্ট পাওয়া যায়। এটা কন্টিনিউ করতে পারেন আজীবন! অনেকেরই চুল কালার বা স্ট্রেইটেনিং/ রিবন্ডিং করার পরে রাফ হয়ে যায়। এই নারিশমেন্ট অয়েলটা ব্যবহার করলে এই রাফনেস টা চলে যাবে। ইভেন কালার করা অংশগুলোও সফট থাকবে, প্লাস কোন স্প্লিট এন্ড হবেনা!
সাথে শ্যাম্পুটাও হতে হবে ড্রাই এবং রাফ চুলের জন্য উপযুক্ত। শ্যাম্পুটা যদি ঠিকভাবে সিলেক্ট করা না হয় তাহলে রাফনেস কখনোই কমানো যাবেনা। অয়েলি চুলে অনেকে কন্ডিশনার ব্যবহার করা পছন্দ না করলেও ড্রাই চুলের জন্য প্রতিবার শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনারের বিকল্প নেই।
ড্রাই চুলে প্রতিবার শ্যাম্পু করার চেয়ে আরেকটি ভাল অপশন Co-wash করা। কো ওয়াশ কি জানতে হলে পড়তে হবে এই ব্লগটি।
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারের পরেও ড্রাই চুলের জন্য আরো দুট ধাপ জরুরী। ১) একটি ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক/ ট্রিটমেন্ট ২) একটি হেয়ার সেরাম/ ড্রাই অয়েল।
সপ্তাহে ১ বা ২ দিন ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট ইউজ না করলে চুলে এনাফ ময়েশ্চার পাওয়া যায়না। কন্ডিশনারের সাথে এর ব্যবহারের পার্থক্য হল কন্ডিশনার ২-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং ব্যবহারের আগে স্টিম নিয়ে নিতে পারলে খুবই ভাল হবে। এতে hair follicle খুলে যায় এবং চুলের গভীরে নারিশমেন্ট পৌঁছায়।
হেয়ার সেরাম ব্যবহার করতে পারেন যে কোন সময়। চুল ধোয়ার পরে ড্যাম্প চুলে (মানে চুলটা এতখানি শুকিয়ে আসলে যাতে ভেজা ভাবটাও থাকে কিন্তু চুল থেকে পানি না পড়ে) দিতে পারেন আবার সম্পূর্ণ শুকিয়ে আসলেও দিতে পারেন। স্পেশালি আঁচড়ানোর আগে যাতে খুব সহজে জট খুলে আসে। হেয়ার সেরামগুলো দেখতে তেলের মত হলেও সাধারণ তেলের মত অনেক পরিমাণে ব্যবহার করা যাবেনা। হাতের তালুতে অল্প নিয়ে পুরো চুলে আলতো করে বুলিয়ে নিলেই চলে।