বাচ্চার ডায়রিয়া ও কন্সটিপেশন

আলহামদুলিল্লাহ্‌, দেড় বছরে নো ডায়রিয়া নো কন্সটিপেশন। তবে আমি সেগুলোর জন্য সচেতনভাবে কিছু কাজ করে গিয়েছি/যাচ্ছি। সেটাই আজ লিখব।
১. বাচ্চাকে রোটা ভাইরাসের টিকা দিতে পারেন। আমি দেইনি, কারণ আমার বেবির যখন রোটার টিকা দেয়ার বয়স ছিল, তখন দেশে রোটাভাইরাসের টিকা স্টক আউট হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তিতে যখন রিস্টক হয়, অনেক বেশি দাম ছিল। তাই ইচ্ছা থাকলেও দেয়া হয়নি।
২. ফীডার বোতল জমিয়ে না রেখে সাথে সাথে ধুয়ে ফেলেছি। সাথে সাথে ধোয়া না গেলে কডমোর বোতল ক্লিনজার দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছি (যেভাবে আমরা কাপড় ভিজিয়ে রাখি)। শেষ ধোয়া খাবার পানি দিয়ে দিতাম। সব কিছু ডীপ ক্লিন করা খুব জরুরী। মাসে ২/১ দিন গরম পানিতে সিদ্ধ করেছি বোতল এবং এক্সেসরিজ। আমি কোন স্টেরিলাইজার কিনিনি (সব সময় বাজেট এ চলার চেষ্টা করেছি)। দৈনিক স্টেরিলাইজ করার প্রয়োজন নেই, তবে সব কিছুই একটা বড় ঢাকনাওয়ালা বক্স এর ভিতরে রাখতাম যাতে ধুলা না পড়ে, মাছি না বসে। কডমোর এই ক্লিনজারটা একটা লাইফ সেভার। এস্টেরিয়াতে এখন স্টক এ এনেছি নিজে উপকার পেয়েছি বলে।
https://asteriabd.com/…/kodomo-bottle-accessories…/
৩. পাশাপাশি একটা ব্যাপার মেনশন না করলেই নয়, সেটা হল পানি। আমাদের এলাকায় বছরের কিছু সময় পানি দুর্গন্ধ যুক্ত এবং সবুজ রঙ এর আসে। এই কারণে আমি ফকিরাপুল পানির ট্যাংকির পাশের এরিয়া থেকে ডীপ টিউবয়েল এর পানি কার্ড করে কালেক্ট করি। ওই পানিটা একদম ফ্রেশ, তবু ফিল্টার করে ব্যবহার করি। অনেকের কমপ্লেইন দেখেছি পানির কারনে বাচ্চার বারবার পেটে অসুখ হয়।
৪. বাচ্চা কোন কিছু মুখে দেয়ার বয়স হলেই সব কিছু কডমোর ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে দিয়েছি। ছবির খেলনাটাও ধুয়ে দিয়েছি, যেহেতু সে মুখে দেয়।
৫. বাচ্চা যদি শুধু বুকের দুধ খায়, তবে ৬মাসের আগে বাচ্চা অনেক সময় ৭দিনে একবার পটি করে, এটা নরমাল। এতে প্যানিক করার কিছু নেই। বিশেষত ২মাস বয়সে বাচ্চাদের বাউয়েল খুব ইররেগুলার হয়। আর যদি ফর্মুলা খায়, তবে খেয়াল করে দেখবেন পার্টিকুলার ফর্মুলাতে তার কন্সটিপেশন হচ্ছে কিনা। সেক্ষেত্রে ফর্মুলা চেইঞ্জ করে দেখতে পারেন। তবু কন্সটিপেশন এর জন্য ঘরে বাচ্চাদের গ্লিসারিন সাপোজিটরি ডীপ ফ্রিজ এ রাখতে পারেন, যদি দেখেন বাচ্চা পটি করার চেষ্টা করেও পারছেনা এবং কষ্ট পাচ্ছে, তখন গ্লিসারিন সাপোজিটরি দিতে পারেন। ( এটা ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগ, দিতে হলে ক্ষতি নেই)

৬. সলিড শুরু করার পর কিছু জিনিস আমি পার্টিকুলারলি মাথায় রেখেছি।

  • ভাতের চাইতে ওটস এ আয়রনের পরিমান বেশি এবং পেট নরম রাখে।
  • পোলাও চাল কন্সটিপেশন করে তাই আমি পোলাও চাল পারত পক্ষে দেইনাই।
  • আমাদের ট্যান্ডেন্সি হল বাচ্চাকে ৩/৪পদের ডাল, কয়েক পদের সবজি মিলিয়ে পোলাও চাল দিয়ে খিচুড়ি দেয়া। মুগ ডাল ৭ মাসে, মসুর ডাল ১০ মাসে দেয়ার নিয়ম। মাল্টিপল ডাল এ বাচ্চার গ্যাস/কন্সটিপেশন হয়।
  • সলিড শুরু করার সাথে সাথেই চেষ্টা করেছি শাক দেয়ার। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে ৩-৪ দিন শাক একটু হলেও দিয়েছি।
  • ফলের রস দেইনাই। চামড়া সহ/ আশ সহ ফল দিয়েছি। খেজুর সিদ্ধ করে দিয়েছি। ফলের আশ/খোশা বাচ্চার পটি নরম রাখতে সাহায্য করে।
আজ আপাতত এটুকুই। কারো জিজ্ঞাস্য থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। নেক্সট কি নিয়ে লিখব, সেটার ও আইডিয়া দিতে পারেন। ধন্যবাদ।

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

বাচ্চার সর্দিঃ কি করি?

বাচ্চা জন্মের পর থেকে ২বছর পর্যন্ত কয়েক দফায় ঠান্ডা সর্দি লাগতে পারে। একেতো তখন বাচ্চার ইমিউন সিস্টেম তৈরী হয় আমাদের আশেপাশের কমন ভাইরাসের জন্য, পাশাপাশি প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার অভাব ও একটা কারণ হতে পারে। সাধারন সর্দি ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে নিজেই ভাল হয়ে যায়, প্রয়োজন শুধু অল্প কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা। বিপদজনক কোন লক্ষণ (নিচে উল্লেখ করে দিব) না থাকলে, সাধারণ ঠান্ডা সর্দির জন্য বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া কিংবা কোন এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
সর্দিজনিত কারণে বাচ্চার নাক বন্ধ থাকলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আর বাচ্চার দুধ খেতেও সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে যিনি বাচ্চার দেখভাল করেন, তাঁর প্রধান দায়িত্ব হল শ্বাস প্রশ্বাস এর রাস্তা যতটা সম্ভব ক্লিন রাখা। এর জন্য অত্যন্ত জরুরী হল ন্যাজাল এসপিরেটর। নরসল ন্যাজাল স্প্রে (ওটিসি আইটেম, এটা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগেনা, নরমাল স্যালাইন সল্যুশন যার কোন সাইড ইফেক্ট নেই) এক বা দুই ফোটা নাকে দিলে জমে থাকা সর্দি পাতলা হবে। এরপর বাচ্চার নাকে ন্যাজাল এসপিরেটর লাগিয়ে টান দিলে নাক থেকে সকল সর্দি বেরিয়ে আসবে। বিস্তারিত পাবেন ভিডিও তে। https://youtu.be/VlXU5pZcNEY
ছোট বাচ্চার জন্য ন্যাজাল এসপিরেটর একটা অত্যন্ত অত্যন্ত জরুরী আইটেম।নিজেও কিনুন বাসার বাচ্চাদের জন্য, আশে পাশের বাচ্চাদের জন্য ও গিফট করুন ❤
https://asteriabd.com/product/kaili-baby-nasal-aspirator/
এছাড়া বাচ্চাকে সবসময় কুসুম গরম পানিতে গোসল দেয়া, শীত কালে হালকা গরম ওলিভ ওয়েল বুকে পিঠে, হাত পায়ের তালুতে মালিশ করলে বাচ্চা আরাম পাবে। আমাদের দেশে খুব প্রচলিত পন্থা হল সরিষার তেল এ রসুন ভেজে তেল ম্যাসাজ করা। এটা আপনি ওলিভ ওয়েল / আমন্ড ওয়েল এ রসুন দিয়ে করতে পারেন। বাচ্চার নাজুক ত্বক এর জন্য সরিষার তেল ক্ষতিকারক।
যেসব বিপদজনক লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে যাবেন-
১. বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাস ১মিনিটে ৬০ বারের বেশি
২. শ্বাসের সময় বুকে গর্ত হওয়া এবং জোরে জোরে শব্দ হলে
৩. বাচ্চার ঘুম এবং খাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটলে।
আশা করি এই লেখা পড়ার পর আর কেউ বাচ্চার সাধারন ঠান্ডা সর্দি নাক বন্ধ অবস্থায় ভয় পাবেন না এবং অকারণ এন্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না। সঠিক ভাবে নাক পরিস্কার করে দিন আর ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। আর হাতের কাছে ডাক্তারের পরামর্শের জন্য আমাদের অনলাইন কনসাল্টেশন তো আছেই!

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

ডেলিভারীর আগে ও পরে স্তনের যত্ন

আপনি যদি এখন প্রেগন্যান্ট হয়ে থাকেন অথবা মাত্রই নতুন বাবুর জন্ম দিয়েছেন তবে প্রথমেই আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানবেন। প্রেগন্যান্সির একদম শুরু থেকেই ধীরে ধীরে হবু মায়ের স্তনে বিরাট পরিবর্তন আসতে শুরু করে যেটা সম্পুর্নই স্বাভাবিক এবং হরমোনাল। ডেলিভারীর আগে স্তনের তেমন বিশেষ কোন যত্ন নিতে হয়না। নিয়মিত গোসল করলেই স্বাভাবিক ভাবে স্তন পরিস্কার থাকে। তবে থার্ড ট্রাইমেস্টার এ স্তন এ অতিরিক্ত সাবান ঘষা, স্তনের বোটায় জমে থাকা মরা চামড়া বা সাদা আস্তরন সরানোর চেষ্টা না করাই উচিত কারণ এতে করে অসময়ে ডেলিভারীর ব্যাথা শুরু হয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক পানি দিয়ে পরিস্কার করা, কারো যদি অলরেডি বুকের দুধ এসে থাকে সেটা নিপল এর আশেপাশে একটু লাগিয়ে রাখলেও ময়েশ্চারাইজড থাকে। তবে সবচেয়ে ভাল হয় একটা নিপল ক্রিম ব্যবহার করা অন্তত দিনে ২বার। এতে করে নিপল ময়েশ্চারাইজড থাকে এবং ডেলিভারীর আগে অথবা পরে নিপল ক্র্যাক এর সম্ভাবনা কমে।

ডেলিভারীর পরে স্তনের যত্ন অনেক অনেক জরুরী। বিশেষত যদি প্রথমবার মা হয়ে থাকেন এবং বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরিকল্পনা করে থাকেন তবে হঠাৎ করে বাচ্চার এত ঘন ঘন ফিডিং এ প্রায় ১০০ ভাগ মায়েদের ই নিপল ক্র্যাক হয়। এটা যে কি পরিমাণ পেইনফুল শুধু যার হয়েছে তারপক্ষেই বুঝা সম্ভব। নিপলের চামড়া উঠে লালচে দগদগে ঘা হয়ে থাকে এবং বাচ্চাকে খাওয়ানোর অবস্থা থাকেনা এতটাই পেইনফুল হয়। তাই ডেলিভারীর আগে থেকেই এই ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে এবং অবশ্যই নিপল ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবার ফিডিং এর পর দুই নিপল এ ক্রিম লাগিয়ে রাখতে হবে এবং পরবর্তি ফিডিং এর আগে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেললেই বাচ্চাকে খাওয়ানো যাবে। তবে বেশ কিছু নিপল ক্রিম আছে যেগুলো সম্পুর্ন অর্গানিক এবং সেগুলো বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় ও মুছে নেয়ার প্রয়োজন হয়না। দুই প্রকার নিপল ক্রিম ই বর্তমানে এসটেরিয়াতে এভেইলএবল আছে।

নিপল ক্রিম সাইজ এ ছোট হয়, প্রয়োজন ও পড়ে খুব অল্প পরিমানে কিন্তু একটা নিপল ক্রিম একটা লাইফ সেভার আর মাল্টিপারপাজ এ ইউজ করা যায়। নিপল ক্রিম ঠোঁট ও ময়েশ্চারাইজ করে আর বাচ্চার ডায়াপার ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার উপোযোগী। তাই এর পিছনে ইনভেস্ট করার আগে চিন্তার কোন কারণ ই নেই।

হয়তো ভেবে থাকবেন যে আমার বাবুর ১মাস হয়ে গিয়েছে, আমার ও ক্র্যাকড নিপল হিল হয়ে গিয়েছে, আর কি নিপল ক্রিমের প্রয়োজন আছে? দুঃখজনক হলেও সত্য, আছে। বাচ্চার যখন দাঁত উঠে, তখন ও কামড় এ নিপল ক্র্যাক হয়। তাই নিপল ক্রিম এর উপকারিতা একেবারেই শেষ বলা যাচ্ছেনা।

ব্রেস্ট ফিডিং মায়েদের আরেকটা খুব খুব কমন সমস্যা হল ব্রেস্ট এনগর্জমেন্ট থেকে ম্যাস্টাইটিস। বুকে দুধ জমে গিয়ে ইনফেকশন হয়ে যাওয়া, প্রচন্ড ব্যাথা সাথে মায়ের জ্বর। প্লিজ প্লিজ এই অবস্থায় যেন না পড়তে হয় তার সমাধান খুব সহজ কিন্তু কেউ অবহেলায় এই কঠিন সিচুয়েশন এ নিজেকে নিয়ে দাঁড় করাবেন না। এতে নিজের ও কষ্ট, বাচ্চার ও কষ্ট হয়। নিয়ম হল বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় হাত দিয়ে মাঝে মাঝেই স্তনে হালকা করে ম্যাসাজ করা যেন কোন পাশে দুধ জমে না থাকে। খাওয়ানোর আগে সম্ভব হলে কুসুম গরম পানিতে ছোট রুমাল ভিজিয়ে স্তনে সেঁক দেয়া, এতে করে সহজেই দুধ নামবে। আর গোসলের সময় অল্প কিছুক্ষন কুসুম গরম পানি স্তনের উপর ঢালা। এতে করে কোন অংশে চাকা হয়ে দুধ জমে থাকলে সেটা লিকুইড হবে।

খুব খুব ছোট এবং অল্প সময়ের যত্ন কিন্তু অবহেলায় কষ্ট পাবেন অনেক বেশি। লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আর কেমন লাগল পড়ে, কমেন্ট এ অবশ্যই জানাবেন। ভাল থাকবেন।

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

আমার বাচ্চা খায়নাঃ পর্ব ১

জানি সবাই এই পর্বের জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে আছেন। বেশ লম্বা সিরিজ এটা, অনেক কিছুই লিখতে হবে। পাশাপাশি আপনাদের প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে লেখা আরো বাড়াবো। পড়ে জানাবেন কেমন লাগল আর কি কি বিষয় লিখতে হবে।

তাবত দুনিয়ার এমন কোন মা, খালা, নানী, দাদী নাই যারা এই কমপ্লেইন করেনা যে আমার বা আমাদের বাবু খায়না। এমন কোন ডাক্তার নেই যে এই কমপ্লেইন শুনেনাই। আমার হাজব্যান্ড কে যখন কেউ ফোন দিয়ে বলে, বাচ্চা খায়না, ইদানিং সে বলে, আমার বাচ্চা তো খায়। আসলেই কি বাচ্চা খায়না নাকি আপনার মন মত খায়না?

আজকে বাচ্চার খাওয়ার জন্য কি কি প্রোডাক্ট কিনেছি আগে সেটা নিয়ে আলাপ করি। বাচ্চার একটা ফিডিং চেয়ার খুব খুব ইম্পর্ট্যান্ট। অনলাইন শপ, গুলশান ডিসিসি, যমুনা ফিউচার পার্ক, কিডস এন্ড মমস যাতীয় দোকানে ফিডিং চেয়ার পাবেন। কিনতে গেলে বেশি দামের টার দিকেই চোখ পড়ে, লোভ লাগে কিন্তু বাচ্চার জন্য আসলে সস্তা চেয়ার টাই এনাফ। তবে আমি পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স এ যেটা দেখলাম, চাকা ছাড়া চেয়ার সেইফ। টেবিলটা আলাদা করা গেলে ধুতে সুবিধা। ৪-৫মাস বয়স থেকেই বাচ্চাকে অন্যরা খাবার সময় টেবিলের কাছে, সামনে রাখলে সে খাবারের প্রতি আগ্রহ দেখায় আর বুঝে যে টেবিলে বসে খেতে হয়। পরবর্তিতে বসতে শিখলেই চেয়ার এ নিয়ে সবার খাওয়ার সময় পাশে বসিয়ে রাখলে সে অভ্যস্ত হয়। অনেকে হাতের উপর শুইয়ে বাচ্চাকে খাওয়ান, এটা খুব রিস্কি। খাবার শ্বাসনালীতে গিয়ে বাচ্চার নিউমোনিয়া থেকে শুরু করে চোকিং (গলায় খাবার আটকে দম বন্ধ হয়ে যাওয়া) পর্যন্ত হতে পারে। আবার বাচ্চা যখন হামাগুড়ি/হাঁটা শিখে তখন তার পিছে পিছে দৌড়াতে হয়না। একটা ভাল অভ্যাস এর জন্য ফিডিং চেয়ার জরুরী।

বাচ্চার জন্য সাকশন বোল এর কোন প্রয়োজন নেই। প্লাস্টিক এর বাটি/চামচ এর দরকার নেই। ঘরের আইটেম ই ইউজ করা যায়। শুধু একটা ছোট সিলিকন চামচ কিনে নিতে হবে। এতে করে বাচ্চা ব্যাথা পাবেনা। খাবার প্লাস্টিক এর আইটেম এ গরম না করে কাচের পাত্রে গরম করা ভাল। নন স্টিক ফ্রাই প্যান ইউজ না করে স্টিল এর ফ্রাই প্যান/কড়াই ব্যবহার করা সেইফ। একটা সিপি কাপ কিনে নিলে ভাল। ১২মাস থেকে পাইপ ওয়ালা সিপি কাপ দিলে বাচ্চা অনায়াসে টেনে খেতে পারে। এছাড়া খুব ছোট গ্লাস/কাপ দিয়েও অল্প অল্প করে চুমুক দিয়ে খাওয়া প্র্যাকটিস করাতে পারেন। বাজেট এ না হলে স্যুপের চামচ দিয়েই অল্প অল্প করে পানি খাওয়ানো যায়।

আমি আমার বাচ্চাকে এক দিনের জন্য ও খাবার ব্লেন্ড করে খাওয়াই নাই। অনেকে শুরুতেই হ্যান্ড ব্লেন্ডার কিনেন, আমি কোন প্রয়োজন দেখিনাই। বাচ্চাকে যতদিন নরম খাবার খাওয়াবেন, বাচ্চা ততদিন চাবানো শিখবেনা, গিলে খাবে, দাঁত আসতে দেরী হতে পারে এবং স্বাভাবিক খাবার খেতে তত দেরী হবে। আমি কিভাবে ধীরে ধীরে বাচ্চাকে নরমাল খাবারে অভ্যস্ত করেছি, সেটা ডিটেইলস এ লিখব পরের পর্বে।

বাচ্চার ওজন যদি ভাল থাকে তাহলে বাচ্চাকে ৬মাস কমপ্লিট করা পর্যন্ত বুকের দুধ ই খাওয়ান। তবে ৪মাসের পর থেকে বাচ্চার আয়রন স্টোরেজ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে তাই ৫মাসের পর থেকে চাইলে আয়রন রিচ আইটেম এড করতে পারেন। যেমন খেজুর, ওটস, বীট রুট। এগুলো সবই ধীরে ধীরে খুবই অল্প পরিমানে, টানা তিনদিন দিয়ে এলার্জি চেক করে দিতে হবে। ৬মাস এ পড়লেই ৩-৪ আইটেম মিলিয়ে আমাদের দেশের মা খালা নানীরা খিচুড়ি গিলাইতে থাকেন বাচ্চাকে। খুব খুব খুব ভুল একটা কাজ। ৬মাসের বাচ্চার পেটে এগুলা তেমন কিছুই হজম হয়না। ১ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চার আসল পুষ্টি আসে দুধ থেকে (মায়ের দুধ বা ফর্মুলা। গরুর দুধ না)। ১বছরের আগ পর্যন্ত বাচ্চাকে বাইরের খাবার দেয়ার প্রধান কারন হল এলার্জি চেক করা, বাইরের খাবারের স্বাদ এর সাথে তাকে পরিচিত করা আর খাবারের একটা রুটিন তৈরী করা। আশা করবেন না যে এক বছরের আগে বাচ্চা দিনে ২-৩বাটি খিচুড়ি কিংবা ১ বাটি সুজি সাবাড় করে দিবে। মায়েদের এই অযৌক্তিক আশার সাথে মিলেনা বলেই মায়েরা কমপ্লেইন করে, আমার বাচ্চা কিছু খায়না।

ওহ আরেকটা জীবন নাশকারি অভ্যাস হল বাচ্চাকে ঘুমের মধ্যে খাওয়ানো। এটা রীতিমত গর্হিত অপরাধ এর মধ্যে পড়ে। অনেকেই হয়ত এই লিখা পড়তে পড়তে বলবেন, আজীবন সবাই এভাবেই খেয়ে আসছে, কিছুই হয়নাই। এখন আবার এসব কি নতুন কথাবার্তারে বাবা? তবে এখানে একটা ব্যাপার আছে। ঘরে ঘরে প্রেশার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, ক্যান্সার আর অতিরিক্ত ওজনের কারনে হৃদরোগ সহ এরকম হাজারো রোগ এর ছড়াছড়ি সব দিকে। তাহলে আসলেই কি যুগ যুগ ধরে চলে আসা খাবারের নিয়মটা ঠিক ছিল? ভাবুন!

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

বাচ্চার স্পীচ থেরাপি

১. ঢাকা শহরে স্পীচ থেরাপি কোথায় করায়?

২. আমার ১৬ মাসের বাচ্চা এখনো মা বাবা বলেনা, এটাকি নরমাল?

৩. বাচ্চাকে কত বয়স থেকে স্পীচ থেরাপি দিতে হবে?

৪. আপনাদের কার বাচ্চা কত বয়সে কথা বলেছে?

এই প্রশ্নগুলো ফেইসবুক এ বিভিন্ন মায়েদের গ্রুপ এ খুব কমন প্রশ্ন। অন্যদিকে আমার বাচ্চা ১২মাসে ইন্ডিপেন্ডটলি ২৮টা মিনিংফুল শব্দ বলে আর আমরা বললে আরো কিছু রিপিট করে। আজ তাহলে আমি কি কি করেছি সেই বিষয়ে আলাপ করছি আর পাশাপাশি আপনাদের কখন এক্সপার্টহেল্প নিতে হবে, সেটাও পয়েন্ট আউট করে দিব।

একজন মানুষের জন্মের সাথেই সাথেই তার ভাষা শিক্ষা শুরু হয়। তবে একজন বাচ্চার ভাষা শিক্ষার একটা প্রথম পয়েন্ট হল শুনতে পাওয়া। তাই নিউবর্ন বেবি আপনার আওয়াজ এ বা যেকোন শব্দেই সেদিকে চোখ ঘুরাচ্ছে কিনা, মাথা ঘুরাচ্ছে কিনা শুরু থেকেই এগুলা খেয়াল রাখবেন। আমাদের দেশে যেহেতু রুটিন চেকাপ হিসেবে কানের পরীক্ষা করা হয়না, তাই নিজেদের সন্দেহ হলে নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন।

বাচ্চা যতক্ষন জাগনা থাকে তার সাথে অল্প অল্প আলাপ করা দরকার। বিশেষত ৩ মাস বয়স থেকে আমি আমার বাচ্চার সাথে সারাক্ষন কথা বলতাম। বাসায় একা থাকতাম, পাপা কোথায়? নান কোথায়? এসব বলতাম। দুইটা দিকে আমি খুব সুবিধা পেয়েছি, ১. আমি খুব বাচাল, ম্যাক্সিমাম টাইম ই বাবুর সাথে বকবক করতাম (পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনের কারনে অনেক সময় কিছুই বলতে মন চাইতোনা) ২. নানা নানী সবসময় সাথে থাকায় তারা খেলাচ্ছলে ওর সাথে সব সময়ই কথা বলত। স্বাভাবিকভাবেই বাচ্চা যত বেশি কথা শুনবে তত বেশি কথা শিখবে। অনেকেই ভাবতে পারেন, এত কি বলব অবুঝ বাচ্চার সাথে? এক্ষেত্রে সহজ টিপস হল, যা করছেন তাই বলবেন। যেমন- চল আমরা এখন হাপ্পু পরব। এটা কি? হাপ্পু! আমরা এখন গোসল করছি! বোল টা কি কালার? লাল!  এভাবে ডেসক্রাইব করলে আর কথা খুজে না পাওয়ার কোন কারণ নেই।

বাচ্চার সাথে যথা সম্ভব বেবি টক না করাই ভাল। যদিও আমি মাম এবং হাপ্পু শিখিয়েছি, তবে চেষ্টা করেছি যতটুকু মিনিমাম রাখা যায় বিকৃত শব্দ আর বেবি টক। এতে করে বাচ্চা ইন্সট্রাকশন খুব সহজে বুঝতে শিখে। আমার মেয়ে প্রচুর ভার্বাল ইন্সট্রাকশন এখন বুঝে কারণ আমরা তার সাথে এগুলা বারেবারে রিপিট করেছি। আর ৩মাসের পর থেকেই কোলে নিয়ে ঘরেই ঘুরতে ঘুরতে টিভি, ফ্রিজ, ছবি, ফ্যান, বাথরুম কোনটা কি এগুলো দেখাতাম টাইম পাস হিসেবে। এখন সে সব গুলোই পয়েন্ট আউট করতে পারে।

বাচ্চাকে কোন শব্দ বলা শিখাতে হলে রিপিটেশন এর কোন এলটারনেটিভ নাই। যখন বয়স ৭/৮ মাস ছিল তখন একটা শব্দ মুখ দিয়ে বের করতে ৭ দিন রিপিট করেছি। শব্দ ছিল  “ওয়াও”। এখন ১ দিন ও রিপিট করতে হয়না, আধা বেলাতেই শিখে যায়। যেমন লাল কোনটা এবং শব্দটা যে লাল, ঘরে যা ছিল লাল দেখিয়ে দেখিয়ে বারবার বলতাম “লাল”। এখন সেও লাল দেখলে নিজেই বলে।

১২ মাসের বাচ্চা স্বাভাবিকভাবে বাবা/মা/দাদা বলে। ১৮-২৩ মাসের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ৫০টা শব্দ বলে। ২ বছর পার হয়ে যাবার পর ও যদি বাচ্চা ৫০টা শব্দের কাছাকাছি না বলে, তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন বা স্পিচ থেরাপি সেন্টার এ কথা বলুন। আমার এই পোষ্টের উদ্দেশ্য আপনাকে প্যানিক এটাক দেয়া বা আপনার বাচ্চার উপরে প্রেশার দেয়া নয়। কিভাবে আগে থেকে স্টেপস নিলে বেটার রেজাল্ট পাওয়া যায় আর কখন এলার্ট হতে হবে, সেটা বুঝানো। আজকাল আমরা সবাই ওয়ার্কিং আর মাইক্রো ফ্যামিলি। সেক্ষেত্রে বাচ্চার বাবা মা কেই এগুলো শুরু থেকে খেয়াল রেখে প্র্যাকটিস করতে হবে। বাচ্চাকে ১ বছরের আগে কোন ভাবেই স্ক্রিন দিতে নেই, ১০মাসের পর দিলেও হায়েস্ট ১০ মিনিট এবং মোবাইল বা ট্যাব না দিয়ে টিভি দেয়া মন্দের ভাল। বাচ্চা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থেকে শিখে অনেক কিছুই কিন্তু ডিভাইস তার জন্য অপেক্ষা করেনা, চলতেই থাকে। এসব বাচ্চা এই কারণে রিপ্লাই দিতে, রেজপন্স করতে শিখেনা, তাই বাচ্চাকে ডিভাইস থেকে যতদূর সম্ভব দূরে রাখবেন।

আপনার জানা মতে যদি কোন টিপস থাকে, প্লিজ কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee

আমার বাচ্চা রাত্রে ১২ঘন্টা ঘুমায়

অনেকেই বাচ্চার ঘুম নিয়ে লিখতে বলেছিলেন, তাই একটা চমকপদ টাইটেল দিয়ে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। তবে টাইটেল্টি মিথ্যা নয়। আশা করছি ১০মাস+ সব বাবুরাই সুন্দর রুটিন মেইন্টেইন করে ১০-১২ ঘন্টা রাত্রে এবং ২-৩টা ন্যাপ দিনে নিচ্ছে। আজকের লেখা মেইনলি নিউ মম দের জন্য।
অনেকেই জানেন না যে একদম নিউবর্ন বেবির প্রতি ঘন্টা থেকে হায়েস্ট প্রতি ২ঘন্টায় ফিডিং দরকার হয়। একারনে বাচ্চারা প্রথম ১-১.৫মাস সাধারনত এই ফ্রিকোয়েন্সিতে ঘুম থেকে জাগে। প্রথম ২মাস তাই বিশেষত বাচ্চার মায়ের একেবারেই নির্ঘুম কাটে। তবে এক্ষেত্রে আমি একটা বুদ্ধি করে নিয়েছিলাম, যেহেতু আমার বাবু ৩দিন বয়স থেকে ফর্মুলাও খেতো দিনে ১/২ বার, তাই রাত্রে একটা ফিডিং তার বাবা উঠে দিত। ফলে ১মাস এর পর থেকে আমি রাত্রে মোটামোটি টানা ৪ঘন্টা ঘুমাতে পারতাম। ইউজালি ১০/১১টায় ঘুমিয়ে যেতাম, ১-২টা নাগাদ একটা ফিডিং বাবা দিত ফর্মুলা। আমি আবার ৩-৪টা উঠে খাওয়াতাম। যারা ফর্মুলা দিচ্ছেন না, তারা পাম্প করে একই পদ্ধতিতে খাওয়াতে পারেন।
অনেকেই আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন বাবু রাত জাগে? উত্তরে ‘না’ বললে খুশি ও হতেন, অবাক ও হতেন। অবশ্যই আমার লাক ভাল যে বাবু রুটিন ভালমতন মেইন্টেইন করেছে, তবে শুরু থেকেই আমি কিছু স্ট্রিক্ট রুটিন ফলো করেছি।

১. প্রথম ৩মাস বাবু দিনে ঘুমালে রুম আলো থাকত। পর্দা সরানো থাকতো, দিনের আলো আসত। অনেক সময় রুমের লাইট ও জ্বালানো থাকত।

২. রাত ৮টা থেকে রুমের লাইট একে বারেই বন্ধ থাকতো। একটা ছোট টেবিল ল্যাম্প এর উপরে আবার রুমাল দিয়ে খুব ডিম করে আলো থাকতো শুধু ওর ফীডার বানানোর জন্য। ৮টার পর ওকে কোনভাবেই আমি আর আলোতে নিতাম না এবং রুমের লাইট জ্বালাতাম না। ডায়াপার চেইঞ্জ করলেও সেটা অন্ধকারে। বাবু যখন আস্তে আস্তে হাসতে শিখেছে, আমার দিকে তাকিয়ে ইন্টর্যাক্ট করতে চাইতো, আমি ওর চোখের দিকে তাকাতাম ও না। এতে করে ও দিনে আলো আর রাতে আঁধার এবং রাত হলো ঘুমানোর সময়, দিন হল খেলার সময়, এগুলো ধীরে ধীরে বুঝতে শিখেছে।
৩. বাবুর ৭দিন বয়স থেকে আমি স্ট্রিকটলি নাইট টাইম রুটিন ফলো করেছি। সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় ওকে আমাদের স্বাভাবিক স্কিন টেম্পারেচার এর পানি দিয়ে রুমাল দিয়ে গা মুছে দিতাম। ডায়াপার- ড্রেস চেইঞ্জ করে দুধ খাইয়ে লাইট অফ করে দিতাম। এটা ছিল ওর প্রথম ৩মাসের রুটিন। এরপর শীতের সময় কুসুম গরম পানি দিয়ে মুছাতাম। এখন একটু দেরীতে ঘুমায়, তাই শরীর মুছাই ডিনারের পর, ৯.৩০ তে। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ্‌, গত ১ বছরে, একদিনের জন্য ও এই রুটিন মিস হয়নি। এতে করে বাবু বুঝে যে সন্ধ্যায় গা মুছানো, ড্রেস চেইঞ্জ মানেই আমার ঘুমের সময় হচ্ছে। আর ওরাও খুব আরাম বোধ করে তাই ভাল ঘুম হয়।
৪. কিছু ব্যাপার জানতে হবে। এগুলো নিয়ে গুগল করতে পারেন বা কমেন্ট করলে আমি সময় পেলে লিখব। যেমন বাচ্চাদের প্রথম বছরে কয়েকবার গ্রোথ স্পার্ট হয়, এসময় বাচ্চাদের ঘুমের রুটিন কয়েকবার চেইঞ্জ হয় বা একটু ডিসটার্বড হয়। সময় গুলো জেনে রাখলে মেন্টার প্রিপারেসন থাকবে। এছাড়া ৪-৫মাস বয়সে স্লিপ রিগ্রেশন হয় অনেকের, এটা একদম স্বাভাবিক।

বাচ্চাকে এখন না ঘুম পাড়ালে বা দেরী করে ঘুমালে তাড়াতাড়ি ঘুমাবে এবং লম্বা ঘুমাবে এটা একটা মারাত্মক ভুল ধারনা!!! বাচ্চা যত বেশি টায়ার্ড হবে তত ঘুমাতে রেসিস্ট করবে, কান্না করবে এবং কষ্ট পাবে।
১ বছর পর্যন্ত বাচ্চা দিনে যত ভাল ঘুমাবে (বেশি ঘুম না, টাইমলি ঘুম) সে রাত্রেও তত ভাল ঘুমাবে। সো ন্যাপ প্রোপার টাইম এ নিচ্ছে কিনা, খেয়াল করুন।
১বছরের উপরের অনেক বাচ্চাই ন্যাপ নিতে চায়না। জোর করার দরকার নাই। ফুল নাইট স্লিপ ই এনাফ।
দাঁত উঠে গেলে রাত্রে ঘুমের মধ্যে ফর্মুলা না খাওয়ানোই ভাল। দাঁত নষ্ট হয়। আর মোবাইলে হোয়াইট নয়েজ এপ নামিয়েছি। খুব কাজের জিনিস।
আজ আপাতত এটুকুই। ধন্যবাদ।

লিখেছেন-

Dr Ishrat Nazneen Metee

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)