বাচ্চার সর্দিঃ কি করি?

বাচ্চা জন্মের পর থেকে ২বছর পর্যন্ত কয়েক দফায় ঠান্ডা সর্দি লাগতে পারে। একেতো তখন বাচ্চার ইমিউন সিস্টেম তৈরী হয় আমাদের আশেপাশের কমন ভাইরাসের জন্য, পাশাপাশি প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার অভাব ও একটা কারণ হতে পারে। সাধারন সর্দি ২-৩ সপ্তাহের মধ্যে নিজেই ভাল হয়ে যায়, প্রয়োজন শুধু অল্প কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা। বিপদজনক কোন লক্ষণ (নিচে উল্লেখ করে দিব) না থাকলে, সাধারণ ঠান্ডা সর্দির জন্য বাচ্চাকে ডাক্তারের কাছে নেয়া কিংবা কোন এন্টিবায়োটিক খাওয়ানোর প্রয়োজন নেই।
সর্দিজনিত কারণে বাচ্চার নাক বন্ধ থাকলে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় আর বাচ্চার দুধ খেতেও সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে যিনি বাচ্চার দেখভাল করেন, তাঁর প্রধান দায়িত্ব হল শ্বাস প্রশ্বাস এর রাস্তা যতটা সম্ভব ক্লিন রাখা। এর জন্য অত্যন্ত জরুরী হল ন্যাজাল এসপিরেটর। নরসল ন্যাজাল স্প্রে (ওটিসি আইটেম, এটা কিনতে প্রেসক্রিপশন লাগেনা, নরমাল স্যালাইন সল্যুশন যার কোন সাইড ইফেক্ট নেই) এক বা দুই ফোটা নাকে দিলে জমে থাকা সর্দি পাতলা হবে। এরপর বাচ্চার নাকে ন্যাজাল এসপিরেটর লাগিয়ে টান দিলে নাক থেকে সকল সর্দি বেরিয়ে আসবে। বিস্তারিত পাবেন ভিডিও তে। https://youtu.be/VlXU5pZcNEY
ছোট বাচ্চার জন্য ন্যাজাল এসপিরেটর একটা অত্যন্ত অত্যন্ত জরুরী আইটেম।নিজেও কিনুন বাসার বাচ্চাদের জন্য, আশে পাশের বাচ্চাদের জন্য ও গিফট করুন ❤
https://asteriabd.com/product/kaili-baby-nasal-aspirator/
এছাড়া বাচ্চাকে সবসময় কুসুম গরম পানিতে গোসল দেয়া, শীত কালে হালকা গরম ওলিভ ওয়েল বুকে পিঠে, হাত পায়ের তালুতে মালিশ করলে বাচ্চা আরাম পাবে। আমাদের দেশে খুব প্রচলিত পন্থা হল সরিষার তেল এ রসুন ভেজে তেল ম্যাসাজ করা। এটা আপনি ওলিভ ওয়েল / আমন্ড ওয়েল এ রসুন দিয়ে করতে পারেন। বাচ্চার নাজুক ত্বক এর জন্য সরিষার তেল ক্ষতিকারক।
যেসব বিপদজনক লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে যাবেন-
১. বাচ্চার শ্বাস প্রশ্বাস ১মিনিটে ৬০ বারের বেশি
২. শ্বাসের সময় বুকে গর্ত হওয়া এবং জোরে জোরে শব্দ হলে
৩. বাচ্চার ঘুম এবং খাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটলে।
আশা করি এই লেখা পড়ার পর আর কেউ বাচ্চার সাধারন ঠান্ডা সর্দি নাক বন্ধ অবস্থায় ভয় পাবেন না এবং অকারণ এন্টিবায়োটিক খাওয়াবেন না। সঠিক ভাবে নাক পরিস্কার করে দিন আর ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন। আর হাতের কাছে ডাক্তারের পরামর্শের জন্য আমাদের অনলাইন কনসাল্টেশন তো আছেই!

লিখেছেন-

MBBS, MSc, PGT (Dermatology)

Dr Ishrat Nazneen Metee