Cowash এর ABCD

কো ওয়াশ আমাদের দেশে এখনো পপুলার কনসেপ্ট না। Conditioner wash= Co wash. কো-ওয়াশ মানে হচ্ছে শ্যাম্পুর পরিবর্তে কন্ডিশনার দিয়ে চুল ওয়াশ করা। বেশ কিছু মিথ প্রচলিত আছে আমাদের- যেমন কন্ডিশনার স্কাল্পে লাগানো যাবেনা। জিনিসটা একই সাথে ভুল এবং ঠিক। কিছু কন্ডিশনার স্কাল্পে দেয়া যাবে, কিছু না দেয়া ভাল।

কোনগুলা scalp এ দেয়া যাবে?
– যেগুলাতে water insoluble সিলিকন নাই। এর মানে কি? মানে হচ্ছে এমন সিলিকন যাতে না থাকে যেটা নর্মাল পানি দিয়া ধুলে চলে যাবেনা। এটা যারা CGM follow করতে চান তাঁদের জন্য।

যদিও কো ওয়াশ CGM follower দের মাঝেই পপুলার, যারা CGM follow করছেন না তাঁরাও কো ওয়াশ করতে পারেন।

লাভ কি কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে?
– সাধারণ শ্যাম্পুর ক্লিনজিং এজেন্ট বেশ হার্শ। প্রতিদিনের ওয়াশের জন্য মাইল্ড ফর্মুলা ব্যবহার করা ভাল। এতে চুলের এবং scalp এর ন্যাচারাল অয়েল ব্যালেন্স বজায় থাকে।  কন্ডিশনার গুলোতে mild cleansing agents থাকে এবং একই সাথে moisturizing ingredients থাকে যা চুলকে soft & supple রাখতে সাহায্য করে।

সিলিকন ওয়ালা কন্ডিশনার দিয়ে কো ওয়াশ করলে হবে?

এই প্রসেসটা আসলে কোন বেদবাক্য নয়। সিলিকন ওয়ালা গুলা দিয়ে কো ওয়াশ করলে মানা নাই, not recommended though. সিলিকন চুলে বিল্ডাপ তৈরী করে। এই বিল্ডাপ ক্লিন করতে আপনাকে এমন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুতে হবে যেগুলোতে সালফেট আছে। বেশিরভাগ শ্যাম্পুতেই থাকে। Silicones can’t be washed off without sufates.

সিলিকন আছে কিনা কীভাবে বুঝব?
– বোতলের পিছনের লেবেলে দেয়া ইনগ্রেডিয়েন্ট লিস্ট দেখে। সিলিকন গুলার নাম সাধারণন ‘-cone’ ‘-conol’ দিয়ে শেষ হয়। যেমন dimethicone, dimethiconol.

কন্ডিশনার দিয়ে আবার চুল ক্লিন হবে কীভাবে?
– হবে। কারণ কো ওয়াশ কন্ডিশনারে ক্লিনজিং এজেন্টও থাকে

কাদের জন্য স্যুটেবল?
– ড্রাই চুল কিন্তু আবার প্রতিদিন শ্যাম্পু না করলে ভাল লাগেনা। আবার শ্যাম্পু করলেও চুল আরো বেশি ড্রাই লাগে। যাঁদের স্কাল্প দ্রুত ড্রাই হয়ে যায়। যারা curly girl method ফলো করতে চান, তাঁদের জন্য এক্সেলেন্ট অপশন।

অয়েলি চুলে কো ওয়াশ করা যাবে?
– যাবে। কারো জন্যই মানা নাই। করে দেখেন, ভাল লাগলে কন্টিনিউ করবেন!

বাচ্চাদের চুলে করা যাবে?

– যে কোন বয়সের ছেলে, মেয়ে সবার চুলেই করা যাবে।

কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুব কেম্নে?
– নর্মাল shampoo দিয়ে যেভাবে চুল ওয়াশ করেন, ওভাবেই।

তেল যাবে?
– সাধারণত, না। তেল ওয়াশ অফ করার জন্য শ্যাম্পুই লাগবে। যেদিন তেল দিবেন সেদিন চুল ওয়াশ করার জন্য কো ওয়াশ স্যুটেবল না।

সপ্তাহে কতদিন কো ওয়াশ করতে হবে?

– CGM follower দের জন্য Ideally সপ্তাহে ২ দিনের বেশি না। কিন্তু শুরুর দিকে অনেকেরই এত অল্প চুল ধোয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে একটু সময় লাগে। সেক্ষেত্রে নিজের পছন্দমত রুটিন সেট করে নিতে হবে। সপ্তাহে ৩/৪ দিনও যদি কো ওয়াশ করেন, এটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে।

যাঁরা CGM follow করছেন না কিন্তু এমনি কো ওয়াশ করতে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে কোন দিনের বাধ্য বাধকতা নেই। প্রয়োজন এবং সুবিধা অনুযায়ী প্রতিদিনও করতে পারেন।

কো ওয়াশ করার পরে কি আবার কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে?

– নির্ভর করে আপনার চুলের ধরণটা কেমন। যদি নর্মাল থেকে অল্প অয়েলির দিকে হয় তাহলে অনেকের কো ওয়াশ করাই যথেষ্ট হয়। কিন্তু কো ওয়াশ করার পরেও যদি চুল যথেষ্ট সফট হয়েছে মনে না হয় তাহলে অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কোঁকড়া চুল সাধারনত বেশি শুষ্কই হয় এবং সেক্ষেত্রে কো ওয়াশের পরেও একটি ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার সবসময়ই ব্যবহার করা ভাল।

আমাকে কিছু প্রোডাক্টের নাম সাজেস্ট করতে পারেন যেগুলো দিয়ে কো ওয়াশ করা যাবে?

অবশ্যই! চেক করবেন এই লিংকে

লিখেছেন-

Dr. Sanjida Alam

MBBS, MPH (NIPSOM), PGT (Surgery)

Managing partner, Co-founder, Asteria

আমি CGM শুরু করতে চাই। কি কি লাগবে?

প্রতিদিন পাওয়া প্রশ্নগুলোর মাঝে কমন এটা- “আমি সিজিএম শুরু করতে চাচ্ছি। কি কি লাগবে?”

চেষ্টা করছি একটা লিস্ট করে দিতে, আপনাদের মতামত অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

Haircare products (must needed)

  1. একটা ফাইনাল ওয়াশ শ্যাম্পু:এমন একটা শ্যাম্পু যাতে ইনগ্রেডিয়েন্টের মাঝে সালফেট থাকবে কিন্তু কোন সিলিকন, মিনারেল অয়েল, ওয়াক্স ইত্যাদি কার্লি চুলের জন্য harsh ingredients থাকবে না। সিজিএম শুরু করার আগে শুধুমাত্র ১ বার এই শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে যাতে আগে চুলে যে প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করা হত তার কারণে তৈরী আবরণ (কোটিং) ক্লিন হয়ে যায়।
  2. একটা clarifying shampoo: এই শ্যাম্পুগুলো সাধারণত মাসে ১ বার ব্যবহার করা হয় চুলে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রোডাক্টের/ ধুলোবালির যে আবরণ তৈরী হয় তা পরিষ্কার করতে।
  3. একটা low poo shampoo: এই শ্যাম্পুগুলো খুবই mild cleansing ingredients দিয়ে তৈরী। সপ্তাহে ১/২ দিন চুল ওয়াশ করার জন্য ব্যবহার হয়।
  4. একটা regular conditioner: চুলে যথেষ্ট পরিমাণ nourishment/ moisture দেয়ার জন্য। কার্লি চুল সাধারণত বেশ ড্রাই হয় এজন্য ময়েশ্চারাইজিং কন্ডিশনার খুব জরুরী। প্রতিবার চুল ধোয়ার সময় অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।
  5. একটা hair mask/ deep conditioning treatment: কন্ডিশনার ব্যবহার করার পাশাপাশি মাসে অন্তত ১ বা ২ বার extra nourishment এর জন্য হেয়ার মাস্ক বা ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করাও জরুরী।

চুল শুকানোর জন্যঃ 

সাধারণ towel দিয়ে চুল বেঁধে রাখলে তা কার্লি চুলকে অনেক বেশি frizzy করে ফেলে। এর বদলে লিস্ট থেকে যে কোন উপায় বেছে নিতে হবে-

  1. নরম কটন টিশার্ট/ গামছাঃ চুল ওয়াশের পরে বাঁধার জন্য
  2. Microfibre towel: কটন টিশার্ট/ গামছার পরিবর্তে
  3. Hair dryer
  4. Diffuser: হেয়ার ড্রায়ার আমরা প্রায় সবাই চিনি। ডিফিউজার টা কারো কারো কাছে নতুন হতে পারে। এটা একটা additional part যেটা হেয়ার ড্রায়ারের মাথায় এটাচ করে ব্যবহার করতে হয়। হেয়ার ড্রায়ার থেকে সরাসরি যে হিট/ বাতাসটা বের হয় এটা কার্লি চুলের সবদিকে সমানভাবে লাগে না। কিছু কিছু দিকে বেশি লাগে যে কারণে সুন্দর করে কার্ল ফর্ম হয় না। আবার কিছু কিছু জায়গায় কম লাগে যে কারণে সুন্দর করে চুলটা শুকায় না। ডিফিউজার ব্যবহার করলে এই বাতাসটা সবদিকে লেগে এই সমস্যাটা দূর হয়।

কিছু পয়েন্ট অবশ্যই নোট করতে হবে-

  • এখানে যে প্রোডাক্ট গুলোর লিস্ট দেয়া হয়েছে তার সবই CGM approved ingredient এর তৈরী হতে হবে। এস্টেরিয়ার CGM সেকশনে কোন প্রোডাক্টগুলো স্টকে আছে তা দেখে নিতে পারেন এই লিংকে।
  • কার চুলের জন্য এক্সাক্টলি কোন প্রোডাক্ট টা সবচে স্যুটেবল হবে এটা দ্বিতীয় কেউ বলে দিতে পারবে না। ব্যবহার করে নিজেকেই এটা খুঁজে বের করতে হবে। ধরুন আপনি একটা কন্ডিশনার ব্যবহার করলেন। কিন্তু করে মনে হল এটা তো তেমন সফট করল না চুল। তাহলে নেক্সট টাইম আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে এর চেয়েও বেশি ময়েশ্চারাইজিং/ হেভি একটা কন্ডিশনার।
  • প্রোডাক্টগুলো কোনটা কতদিন পর পর ব্যবহার করতে হবে তার একটা general rule থাকলেও এটা সম্পূর্ণ যার যার পছন্দের উপর ডিপেন্ড করে মডিফাই করে নিতে পারেন। সিজিএম শুরু করার আগে আমরা সাধারণত যেসব শ্যাম্পু ব্যবহার করি তাতে সালফেট থাকে যা একটা squeaky clean feel দেয়। যেসব কন্ডিশনার ব্যবহার করি তাতে সিলিকন থাকে যা একটা slippery, soft finish দেয়। আমরা এই ফিলিংস গুলোতেই অভ্যস্ত। একারণে যখনই আমরা এগুলো বদলে ভিন্ন ধরণের ইনগ্রেডিয়েন্টের প্রোডাক্ট ব্যবহার শুরু করি তখন মনে হয় চুলটা ঠিকভাবে পরিষ্কার হয়নি বা পছন্দমত সফট হচ্ছে না। কিন্তু এই মনে হওয়াটা সাময়িক। আপনার চুলেরও এই ভিন্নধর্মী প্রোডাক্টগুলোর সাথে used to হতে সময় লাগে। এই সময়টাকে বলে transition phase. যখন আপনি এই সময়টা পার করে যাবেন তখন এই চুল পরিষ্কার হয়নি/ সফট হয়নি এগুলো আর মনে হবেনা। অবশ্যই transition phase এ ধৈর্য্য ধরতে হবে। কতদিন থাকবে এই transition phase? বলা যায় না। অনেকের ১/২ মাস সময় লাগে, কারো জন্য ১/২ বছর!
  • প্রোডাক্ট কতদিন পরপর ব্যবহার করবেন তা অনেকখানি লাইফস্টাইলের উপরও ডিপেন্ড করে। নিজের কথা যদি বলি, শুরুর দিকে যখন আমাকে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হত তখন মাসে ১ বার ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু ব্যবহারের কথা থাকলেও ধুলোবালি/ পলিউশনের কারণে চুল এতই ভারী মনে হত যে অন্তত সপ্তাহে ১ বার ব্যবহার না করলে চলত না। লো পু শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল একেবারেই পরিষ্কার হয়েছে মনে হত না। এখন যখন I am working mostly from home এবং বাইরের ধুলোবালি চুলে লাগছে না তখন মাসে ১ বার ক্ল্যারিফাই করা যথেষ্ট হচ্ছে। তবে শুরুতে একটু frequent থাকলেও convenience অনুযায়ী আস্তে আস্তে তা কমিয়ে  আনতে হবে।

শুরু করার জন্য এই পর্যন্ত যথেষ্ট। খুব আগ্রহী এবং উদ্যমীরা পরবর্তী অংশ পড়তে পারেন। কিন্তু আমার মত অলস যাঁরা তাঁদের শুরুতেই পরবর্তী অংশ না পড়ে, এই প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার শুরু করার পরে, used to হয়ে, পরের অংশ পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি!

Haircare products (optional)

  1. Co wash conditioner: চুল ওয়াশ করার জন্য শ্যাম্পুর পরিবর্তে কন্ডিশনার ব্যবহার করা সম্ভব। তবে সব কন্ডিশনারই কো ওয়াশের জন্য উপযুক্ত না। এগুলোতে অবশ্যই cleansing ingredient থাকতে হবে
  2. Leave in conditioner: অন্যান্য কন্ডিশনার ৩-৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। কিন্তু লিভ ইন কন্ডিশনার চুল শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলার পরে damp চুলে দিতে হয় এবং এটা ধুয়ে ফেলতে হয় না। এটা চুল সফট ও slippery রাখার জন্য।

Hair styling products (optional)

হেয়ার স্টাইলিং ব্যাপারটাই অপশনাল। প্রতিদিন স্টাইল করতেই হবে এটা বাধ্যতামূলক কিছু না, যার যার প্রেফারেন্স। অনেকেই প্রতিদিন চুল স্ট্রেইট/ ব্লো ড্রাই না করে বের হন না- অনেকটা তেমনই। চুল সেট করলে অবশ্যই তা অনেকগুণে বেশি সুন্দর লাগে কিন্তু ইচ্ছা, সময় ও সুযোগ বুঝে।  আমি শুরুতেই স্টাইলিং প্রোডাক্ট/ প্রসেসের উপর নজর না দেয়ার পক্ষপাতী কারণ যিনি আগে এগুলো কোনটাই করেন নি তাঁর কাছে মনে হতে পারে ‘ওরে বাবারে, এত কাজ! আমাকে দিয়ে হবে না’। আসলে মোটেও অনেক কাজ বা অনেক সময় লাগার কিছু নেই। কিন্ত যখন আপনি শুরুতেই সব একবারে শিখে ফেলতে যাবেন তখন খুবই ঝামেলার কাজ মনে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়- আমি ডিম ভাজি করতে পারি না কিন্তু শুরুতেই বিরিয়ানী রান্না শিখতে গিয়ে বিরক্ত হয়ে গেলাম। তাই আমি বলি ডিম ভাজিটা আগে শিখি, সহজ কাজগুলো বুঝে গেলে পরে বিরিয়ানী!

এবার আসি হেয়ার স্টাইলের জন্য কি আইটেম সিলেক্ট করতে পারি। এই লিস্ট থেকে যেকোনটা আপনি বেছে নিতে পারেন। এর সবগুলোই ব্যবহার করবেন, নাকি যেকোন একটা ব্যবহার করবেন এটা আপনার সুবিধা অনুযায়ী।

  1. Hair gel: কার্লের definition/ shape ধরে রাখার জন্য
  2. Hair mousse: একই কাজের জন্য
  3. Hair spray: একই কাজের জন্য
  4. Hair custard: একই কাজের জন্য
  5. Curl activator: অনেক সময় ওয়াশ করার পরে চুল যেমন ভাবে কার্ল হয়ে শুকানর কথা তেমনটা না হয়ে একটু shapeless হয়ে যায়। কার্ল এক্টিভেটর ব্যবহারে এই সমস্যাটা দূর হয়।

লিখেছেন-

Dr. Sanjida Alam

MBBS, MPH (NIPSOM), PGT (Surgery)

Managing partner, Co-founder, Asteria